বিবিসি বলছে, সোমবার দেশটির কাঞ্চনাবুড়ির ওই মন্দির থেকে তিনটি বাঘ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অভিযানে বন্যপ্রাণী রক্ষীদের এক হাজার সদস্যের একটি দল অংশ নিচ্ছে। পুরো সপ্তাহজুড়ে অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে।
শুরুতে মন্দিরের ভিক্ষুরা সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযানে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু আদালতের আদেশ দেখানোর পর তারা আর বাধা দেয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে উদ্ধার করা বাঘগুলিকে বন্যপ্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।
কাঞ্চনাবুড়ির এই ওয়াট ফা লুয়াং টা বুয়া টাইগার টেম্পলটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। কয়েক বছর ধরেই দেশটির বন্যাপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ এখানে অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ভিক্ষুদের বাধায় তা সফল হয়নি।
মন্দিরটিতে আসা পর্যটকেরা বাঘগুলোকে খাবার দিতে ও নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে এগুলোর সঙ্গে ছবি তুলতে পারতেন। যদিও সরকারিভাবে মন্দিরটির কর্তৃপক্ষকে কোনো ধরনের অর্থ নেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
থাইল্যান্ডের জাতীয় উদ্যান বিভাগের উপ-মহাপরিচালক আদিসরন নুচাদামরং বলেন, “এবার আমাদের হাতে আদালতের আদেশ আছে। এর আগে মন্দির কর্তৃপক্ষকে আমাদের উদ্যোগে সহযোগিতা করার অনুরোধ করলেও আমাদের কাছে আদালতের আদেশ ছিল না, তাই আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম।”
সম্প্রতি মন্দির কর্তৃপক্ষ একটি চিড়িয়াখানা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু চিড়িয়াখানা পরিচালনার মতো প্রয়োজনীয় রসদ তাদের নেই, সরকার এটি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
বিতর্কিত এই মন্দিরটির ভিক্ষুদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী চোরাচালান ও অবৈধভাবে বাঘের প্রজনন করানোর অভিযোগ ছিল।
২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে চালানো অপর এক অভিযানে অনুমোদন ছাড়াই মন্দিরটির আশ্রয়ে খেকশিয়াল, ধনেশ পাখি ও ভালুক রাখার উদ্যোগ উদঘাটিত হয়।