শনিবার রাজ্যটির পুলওয়ামা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
তারিক গোষ্ঠীটির নেতা বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তাকে প্রথম শ্রেণির ‘জঙ্গি’ হিসেবে বিবেচনা করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তথ্য দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারে সহযোগীতার জন্য তিন লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা আছে।
তবে তারিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে না তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন, তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এসেছে। পুলওয়ামা জেলার এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা তারিক আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলওয়ামার সেনা ইউনিটের কাছে তারিক আত্মসমর্পণ করার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সুসমন্বিত এক অভিযানের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে তারিককে পুলওয়ামা জেলার নেওয়া-পিঙ্গলানা সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুল মুজাহিদিনের জন্য বড় একটি আঘাত।”
তিনি জানান, করিমাবাদের কাছে হিজবুল মুজাহিদের এক সদস্যের গতিবিধির সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর শনিবার সকালে ওই সড়কে সেনাবাহিনী ও পুলিশের এক যৌথ তল্লাশি চৌকি বসানো হয়।
“তার গতিবিধির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছিল। কাছাকাছি আসার পর রাষ্ট্রীয় রাইফেল ব্যাটেলিয়নের একটি টিম একটি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি চাইনিজ গ্রেনেড ও অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রীসহ তাকে গ্রেপ্তার করে,” বলেন তিনি।
তারিককে আটকের পর একটি মামলা দায়ের করে তাকে পুলওয়ামা জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই মুখপাত্র।
বুরহান ও তারিকসহ হিজবুল মুজাহিদিনের ১১ নেতা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রচলিত প্রথা ভেঙে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিজেদের ‘যোদ্ধা’ বেশের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে কাশ্মীরের তরুণদের তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন।