বন্দর ও জ্বালানি ডিপোগুলোতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর প্রয়োজনে অভিযান চালানো হতে পরে বলেও জানান তিনি।
শ্রম আইন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে অসন্তোষের জের ধরে ফ্রান্সে গত দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছে শ্রমিকরা।
জেনারেল কনফেডারেশন অব লেবার (সিজিটি) ইউনিয়নের ডাকে এই ধর্মঘটে ফ্রান্সের প্রায় সব বিভাগের শ্রমিকরাই অংশ নিচ্ছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি তেল শোধনাগারগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। বেশির ভাগ ফুয়েল স্টেশনগুলোতেও কাজ বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।
সরকার ও তেল শিল্প প্রতিনিধিদের মধ্যে এক বৈঠকে যোগাযোগ মন্ত্রী আলাইন ভিদালিয়েস বলেন, ফুয়েল ডিপোগুলোতে ধর্মঘট পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে যে সঙ্কটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেটার পুরোপুরি সমাধান এখনো হয়নি।
ভিদালিয়েস বলেন, “কিছু কিছু অঞ্চলে পরিস্থিতি প্রায় আগের মত স্বাভাবিক হয়ে গেছে। অন্যান্য অঞ্চলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কিন্তু এখনই আমরা সঙ্কটের অবসান হওয়ার কথা বলতে পারছি না।”
যদি প্রয়োজন হয় তবে অভিযানের মাধ্যমে ফুয়েল ডিপোগুলো থেকে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয় একটি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মানুয়েল ভালস বলেন, তিনি শ্রম আইন সংস্কার বিল সংসদে পাশ করাতে বদ্ধপরিকর।
এই নিয়ে বিক্ষোভকে আর বাড়তে দেওয়া উচিত হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি সিজিটি সহ সব ধরণের শ্রমিক ইউনিয়নকে সম্মান করি। কিন্তু এই সময়ে, বিশেষ করে যখন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে তখন বন্দর, ফুয়েল ডিপো ও তেল শোধনাগার বন্ধ করে দেওয়া কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
“আগামীতে এই আন্দোলন আরো জোরদার হবে বলে আমার মনে হয় না। যদিও আমি সাবধান রয়েছি।”