বিবিসি বলছে, হতাশ স্থানীয় বাসিন্দারা ও ব্যবসায়ীরা মাধেসিদের বসানো সড়ক অবরোধগুলো সরিয়ে নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই অবরোধ উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারী নৃগোষ্ঠীটি।
শুক্রবার নেপাল ও ভারতের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিংটি যান চলাচলের জন্য চারমাস পর খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যবাহী শত শত ট্রাক নেপালে প্রবেশ করে।
নেপালের নতুন সংবিধানে তাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নেই দাবি করে সংবিধানে পরিবর্তন আনার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে নেপালের সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীগুলো।
চারদিকে স্থল বেষ্টিত নেপালে আমদানিকৃত পণ্যের বড় অংশই ভারত হয়ে নেপালে প্রবেশ করে। প্রধান স্থল সীমান্ত-বন্দরে মাধেসিদের চারমাস ধরে চলা অবরোধের কারণে নেপালজুড়ে তী্ব্র জ্বালানি সঙ্কট তৈরি হয়। অন্যান্য পণ্যের সরবরাহেও সঙ্কট তৈরি হয়।
ভারত সীমান্তের তরাই অঞ্চলে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মাধেসিরাও নতুন সংবিধানে তাদের অধিক প্রতিনিধিত্বের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এসব আন্দোলনের কারণে সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মাধেসি আন্দোলনকারীরা সীমান্ত-বন্দরে অবরোধ ও সাধারণ ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও তাদের দাবির স্বপক্ষে প্রচারণা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে।
মাধেসিদের এই সিদ্ধান্তকে ‘আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ’ অভিহিত করে স্বাগত জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাগড়া প্রসাদ শর্মা অলি।