ভবনটি ধসের জন্য নির্মাণজনিত ত্রুটিকে দায়ী করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নির্মাতার নাম লিন মিং-হুই। মঙ্গলবার তাকেসহ তার দুই সহকর্মী চ্যাং ও চ্যেংকে জেরা করার জন্য জেলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাদের বিরুদ্ধে অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ এনেছে এবং রিমান্ডের আবেদন করেছে।
শনিবার ভোরে তাইওয়ানে ছয় দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্পে তাইনান শহরের গোল্ডেন ড্রাগন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে ভবনের অন্তত ৩৯ বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে।
এখনও ভবনটির নিচে শতাধিক ব্যক্তি চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা উদ্ধারকর্মীদের।
অন্যান্য এলাকায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩২০ জনকে।
ভূমিকম্পে তাইনানের নয়টি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ১৭তলা ভবনটি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ায় এটার নির্মাণ মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ভবনটির কংক্রিটের পিলারের মধ্যে টিনের ক্যান পাওয়া যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও কয়েকজন নির্মাণ বিশেষজ্ঞ বলেন, ভবনটিতে কাঠামোগত কোনো সমস্যা নাও থাকতে পারে।
ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধার কার্যক্রম গতিশীল করতে মঙ্গলবার থেকে সেখানে ভারি যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হয়েছে।
ভূমিকম্পের দুইদিন পরও কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ ৬০ ঘণ্টার বেশি সময় পর আট বছর বয়সী একটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা।
যদিও নিখোঁজদের স্বজনরা এখনও বিধ্বস্ত ভবনের আশাপাশে আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষা করছে।
এরকম এক নারী মেয়র উইলিয়াম লাইকে বলেন, “দয়া করে আমাদের রক্ষা করুন। আমার পরিবারের আরও তিনজন এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছে।”