এদিন পুলিশ ২২টি অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯০ জনকে আটক করেছে। পুলিশের ভাষায় তারা ‘সাধারণ জনগণেরই একটি অংশ’।
বর্ষবরণ উৎসবে কোলন শহরে ভিড়ের মধ্যে যৌন নিপীড়ন ও চুরির কয়েশ ঘটনা ঘটার পর কার্নিভাল ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নগর কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত সপ্তাহব্যাপী এই কার্নিভালে অংশ নিতে প্রায় ১৫ লাখ পর্যটক কোলনে আসেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আড়াই হাজার পুলিশ নগরের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে।
নববর্ষের প্রথম রাতে গণহারে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটায় জার্মানি জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এর জন্য মূলত অভিবাসীদের দায়ী করা হয়।
অভিবাসীদের প্রতি উদার নীতি গ্রহণ করায় জার্মান সরকারকেও চাপে মুখে পড়তে হয়।
গত বছর কার্নিভালের প্রথম রাতের তুলনায় এবার অনেক বেশি যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বৃষ্টির মধ্যেও পুলিশ সদস্যদের নিজ দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তবে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কার্নিভালে কম লোক দেখা গেছে।
কোলনের বাসিন্দা মারিয়াম নববর্ষের রাতে হামলার শিকার হয়েছিলেন। কার্নিভাল উদযাপন নিয়ে তিনি বলেন, “আমি কার্নিভাল উৎসবে যোগ দিচ্ছি। কিন্তু আমার মধ্যে সত্যিই কেমন দোটানা কাজ করছে। আমার সঙ্গে আগে যা ঘটেছিল সেটা আবার ঘটে কিনা তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।”