দক্ষিণ তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭তলা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্ততপক্ষে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১০ দিনের একটি মেয়ে শিশুও রয়েছে।
Published : 06 Feb 2016, 08:48 AM
ধসে পড়ার সময় গোল্ডেন ড্রাগন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে অন্তত ২৫৬ জন ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে দুইশজনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটি হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তি দক্ষিণাঞ্চলীয় তাইনান শহর থেকে ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ২৩ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা।
মূল ভূমিকম্পটির পর আরো বেশ কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে বলে তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে।
বিধ্বস্ত ভবনটিতে বহু মানুষ আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে তড়িঘড়ি করে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে।
ভেঙে পড়া ১৭ তলা ভবনের বিপরীত দিকের ভবনের বাসিন্দা ৭১ বছর বয়সী চ্যাং বলেন, “আমি টেলিভিশন দেখছিলাম। হঠাৎ করে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি শুরু হয় এবং আমি ‘‘বুম’’ শব্দ শুনতে পাই। আমি দরজা খুলে দেখতে পাই বিপরীত দিকের ভবনটি ধসে পড়েছে।”
দমকল বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা হাইড্রোলিক মই ও ক্রেন ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ১২০ জনেরও বেশি জীবিতকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুই সন্তানসহ ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে উদ্ধার পাওয়া এক নারী ঘটনার বর্ণনায় বলেন, “উদ্ধারকর্মীরা ভবনের একটির পর একটি তলা ভেঙ্গে আমাদের দেওয়াল বেয়ে উপরে উঠে আসতে বলে। আমি তাদের জানাই আমার শিশুরা খুই ছোট, তারা দেওয়াল বেয়ে উপরে উঠতে পারবে না। তখন তারা একটি বড় গর্ত খোঁড়ে এবং একজন উদ্ধারকর্মী দড়ি বেঁধে বিধ্বস্ত ভবনের ভেতর ঢুকে তাদের বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর আমি আস্তে আস্তে উপরে উঠে আসি।”
ভূমিকম্পে তাইনান শহরের আরও নয়টি বহুতল ভবন হেলে পড়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এসব ঘটনায় আহত হয়েছে পাঁচশতাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে অন্তত ৯২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে আটশর বেশি সেনা সদস্য উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
তাইনানে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করে।