যুক্তরাষ্ট্রেও জিকা ভাইরাস: জরুরি ব্যবস্থার ডাক ওবামার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমেরিকা মহাদেশ জুড়ে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া এবং আরকানস এর দুই অধিবাসীর দেহে এ ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2016, 04:58 PM
Updated : 27 Jan 2016, 04:58 PM

ওই দুই অধিবাসী সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভ্রমণে গিয়ে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হন। ভার্জিনিয়া এবং আরকানসের স্বাস্থ্য বিভাগ দু’জনের দেহ পরীক্ষা করে ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে।

ভাইরাসটি যাতে দেশজুড়ে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য জরুরি ব্যবস্থা নিতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সেইসঙ্গে জিকা ভাইরাস প্রতিশেধক টিকা ও চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণার গতি বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “রোগ সনাক্তকরণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে গবেষণা ব্যবস্থা আরও ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। সেইসঙ্গে প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতিসহ আমেরিকার সব বাসিন্দাদের জিকা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার বিষয়েও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।”

গত বছর মে মাস থেকে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রদুর্ভাব শুরু হয়। তার পর থেকে দেশটিতে অপরিণত বা ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্ম নেওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শিশুদের এ অবস্থাকে বলা হয়‘মাইক্রোসেফালি’। এতে আক্রান্ত শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে হয় না। ফলে ওই শিশুরা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে পারে,শারীরিক বৃদ্ধি বিলম্বিত হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এরই মধ্যে ক্যারিবিয়ান, উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার ২১টি দেশে জিকা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাঝারি মাত্রার জ্বর, চোখে প্রদাহ ও মাথাব্যাথা হয়।

তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যদিও বিষয়টি এখনও প্রমাণিত নয়।

এডিস মশা জিকা ভাইরাস বিস্তারের জন্য দায়ী। এই মশা ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসও বহন করে।