মঙ্গলবার বিবিসি জানায়, আইএস ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকারের পর টার্নবুল অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক এক বিবৃতিতে একথা বললেন।
কিন্তু এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট প্যারিস হামলার পর আইএসকে ‘মৃত্যুর পূজারী’ আখ্যা দিয়েছিলেন।
মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের বিরুদ্ধে লড়তে অস্ট্রেলিয়াকে সেনা পাঠাতে বলেছিলেন তিনি।
ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস’কে লক্ষ্য করে বোমা হামলা করছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট। অস্ট্রেলিয়া ওই জোটের অংশ।
হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস- এ দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল বলেন, আইএস মিথ্যা প্রচারণার ওপর নির্ভরশীল এবং ‘আমরা অবশ্যই প্রতারণায় বোকা বনে যাব না।’
মধ্যপ্রাচ্যে সেনা পাঠানোর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “ইরাক ও সিরিয়ায় অবশ্যই আইএস’কে হারতে হবে। তাদের মতাদর্শ পুরোনো হলেও তারা আধুনিক যুগের ইন্টারনেট ব্যবহার করে।আইএসের যত বন্দুক আছে, তার চেয়ে বেশি আছে স্মার্টফোন। আর যত না যোদ্ধা আছে, তার চেয়ে বেশি আছে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট।”
তিনি আরও বলেন, “আইএসের ব্যাপক-ভিত্তিক কোনো বৈধতা নেই, এমনকি যেসব এলাকা তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানেও বৈধতা নেই। প্রতিপক্ষ তাদের চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছে। তারাসামরিক চাপে আছে।”
বর্তমানে ইরাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৯০ জন বিশেষ সেনাসদস্য রয়েছেন। তাঁরা দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী সেনাদের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া, ইরাকের জাতীয় সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য সেখানে আরও ৩০০ অস্ট্রেলীয় সেনা আছে।