শান্তির নোবেল ‘আরবের জন্য বার্তা’

রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমঝোতার পথ দেখিয়ে নোবেল পুরস্কার পাওয়াকে ‘ওই অঞ্চলের জন্য বার্তা’ হিসেবে দেখছেন তিউনিসিয়ার সমঝোতাকারী দলের সদস্যরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2015, 01:23 PM
Updated : 9 Oct 2015, 06:16 PM

এই পুরস্কার রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংলাপের ক্ষমতার বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

২০১০ সালের শেষদিকে এক বেকার তরুণের আত্মাহুতি থেকে তিউনিসিয়ায় শুরু হওয়া গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালান ২২ বছরের শাসক জিনে আল আবিদিন বেন আলী।এরপর ক্ষমতার পরিবর্তনের পথে ২০১৩ সালে গভীর সঙ্কটে পড়ে দেশ।

সামাজিক অস্থিরতা আর রাজনৈতিক হত্যার ঘটনায় গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রক্রিয়া পণ্ড হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। এ সময় এগিয়ে আসে তিউনিসিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়নসহ (ইউজিটিটি) চার সংগঠন, যাদের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয় আরব দেশটিতে।

‘সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে একটি পদ্ধতি বের করার জন্য’ তারা সব রাজনৈতিক দলকে এক জায়গায় বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানান ইউজিটিটির প্রধান হুসেইন আব্বাসি।

নিউ ইয়র্ক টাইমসকে তিনি বলেন, “অনেক সমস্যা ও কষ্টের পর রাজনীতিকদের মধ্যে মতৈক্য তৈরিতে সক্ষম হই আমরা, যা আমাদের গণতান্ত্রিক আইনসভা ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং একটি প্রগতিশীল সংবিধান গ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়।”

দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পাওয়াকে ‘তিউনিসিয়ার সবার জন্য সম্মান’ বলেছেন হুসেইন আব্বাসি।

রয়টার্সকে তিনি বলেন, “এটা তিউনিসিয়ার জন্য আনন্দ ও গর্বের, পাশাপাশি আরব বিশ্বের জন্যও একটি আশাবাদ।

“সংলাপ আমাদের সঠিক পথে নিতে পারে-এটা তার বার্তা। অস্ত্র রাখ এবং সমঝোতার টেবিলে বসো ও কথা বলো-আমাদের অঞ্চলের জন্য এই বার্তা দিয়েছে এ পুরস্কার।”