কুন্দুজে হাসপাতালে ‘মার্কিন’ বিমান হামলায় নিহত ১৯

আফগানিস্তানে মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সম্ভাব্য বিমান হামলায় দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ শহরের একটি হাসপাতালের ১৯ রোগী ও কর্মী নিহত হয়েছেন।

>>রয়টার্স
Published : 4 Oct 2015, 04:29 AM
Updated : 5 Oct 2015, 06:10 PM

এর আগে শনিবার ভোররাতে চালানো এ হামলায় হাসপাতালটির একটি অংশ বিধ্বস্ত ও নয় কর্মী নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল হাসপাতালটির পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা সংস্থা ‘মিতস সঁ ফঁতিয়া’ (এমএসএফ)।

এক বিবৃতিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি জানিয়েছে, হামলায় অন্তত তিনটি শিশু, চারজন পূর্ণবয়স্ক রোগী ও এমএসএফ-র ১২ কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো অন্তত ৩৭ জন আহত ও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

ভোরে এই হামলা চলার সময় কাবুল ও ওয়াশিংটনে নেটোর কর্মকর্তাদের তাদের কর্মীরা ফোন করেছিলেন, কিন্তু তারপরও হাসপাতালের কাছে প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে বোমাবর্ষণ করা হয় বলে দাবি করেছে এমএসএফ।

বাঘলান-কুন্দুজ মহাসড়কে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ১ অক্টোবর, ২০১৫

“সব লক্ষণে আন্তর্জাতিক জোট বাহিনী বোমা হামলাটি চালিয়েছে বলে প্রকাশ পাচ্ছে,” বলেছে এমএসএফ। এ বিষয়ে ‘পরিপূর্ণ ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা’ দাবি করেছে সংস্থাটি। 

ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়ে যাওয়া এড়াতে এই হাসপাতালটির অবস্থান সম্পর্কে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার এবং চলতি সপ্তাহেও আফগান ও যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীগুলোকে অবহিত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে এমএসএফ।    

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তালেবান বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে সরাসরি গুলিবর্ষণ করলে হাসপাতালের ‘কাছাকাছি’ বিমান হামলা চালায় তারা। এ বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছে তারা।

কোন পরিস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে তার ‘পূর্ণ বিবরণ’ প্রকাশ করা হবে বলে হোয়াইট হাউস প্রত্যাশা করছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। 

স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা সংস্থা মিতস সঁ ফঁতিয়া (এমএসএফ) পরিচালিত হাসপাতালের আংশিক বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেখানে আফগান বাহিনীর রক্ষীদের অবস্থান। ছবি: রয়টার্স

হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ‘ডক্টরস উইথআউট বর্ডারের কুন্দুজ হাসপাতালের নিহত পেশাজীবীদের ও অন্যান্য বেসামরিক নিহত ও আহতদের’ প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

‘জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য’ এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিস্তারিত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেইন, হামলাটি কারা চালিয়েছে তার উল্লেখ না করে হাসপাতালে হামলা ‘যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।