দরজা খোলার পরপরই প্লাটফর্মের দিকে দলে দলে ঢুকতে শুরু করে অভিবাসীরা।
কিন্তু এক সরকারি ঘোষণায় পশ্চিম ইউরোপগামী সব আন্তর্জাতিক ট্রেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত বলে কর্তৃপক্ষ জানানোর পর স্টেশনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং অভিবাসীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
হাঙ্গেরির অভিবাসন বিরোধী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, নিবন্ধন না করে কেউ হাঙ্গেরি ছেড়ে যেতে পারবে না।
ইইউ এর নিয়মানুযায়ী, শরণার্থীরা প্রথম যে ইইউ দেশে প্রবেশ করবে, তাদের আশ্রয় চাইতে হবে সেই দেশেই। কিন্তু হাঙ্গেরিতে পৌঁছানো বহু শরণার্থীই সেখানে আশ্রয়ের জন্য নাম নিবন্ধন না করে জার্মানি যাওয়ার আগ্রহের কথা বলেছেন।
হাঙ্গেরির পুলিশ মঙ্গল ও বুধ দুইদিন অভিবাসীদেরকে ট্রেনে উঠতে বাধা দেয়ায় তারা কেলেটি ট্রেন স্টেশনেই আটকা পড়ে থাকে। তাঁবু খাটিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করে তারা। কোনো কোনো অভিবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়।
কর্তৃপক্ষ কেন বৃহস্পতিবার সকালে অভিবাসীদেরকে ট্রেন স্টেশনে ঢুকতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট জানা যায়নি।
স্টেশনে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই অভিবাসীরা জার্মানির মিউনিখগামী ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে। কিন্তু তখনই অভিবাসীদেরকে জার্মানি যেতে দেয়া হবে না - এমন কথা শোনা যায় বলে জানিয়েছেন বিবিসি’র এক সংবাদদাতা।
ইউরোপে প্রবেশ করা অভিবাসীর সংখ্যা এরই মধ্যে রেকর্ড গড়েছে। কেবল জুলাইয়েই ইউরোপে প্রবেশ করেছে ১০৭,৫০০ অভিবাসী। জার্মানিতে এ বছর অভিবাসীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৮ লাখে। এ সংখ্যা গতবছরের তুলনায় ৪ গুণ বেশি।
শরণার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইইউ অভিবাসন নীতি নিয়ে উদ্বেগ এবং মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। জার্মানি বহু সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী নিতে ইচ্ছুক থাকলেও অন্যান্য দেশ তা নিতে রাজি নয়।