স্ট্রিমিংয়ের গতি বাড়ানোর ৫ উপায়

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগের গতি ও কার্যক্ষমতা যতো বাড়ছে ব্যবহারকারীরা ততোটাই ঝুঁকছেন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের দিকে। বাসা থেকে অফিসে যাবার পথে ট্রাফিক জ্যামে আটকা পরে অনলাইনে স্ট্রিমিং করে ভিডিও দেখে সময় কাটানো ‘অভাবনীয়’ কোনো দৃশ্য নয় খোদ বাংলাদেশেই।

নাইব মুহাম্মদ রিদোয়ানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2015, 08:07 AM
Updated : 16 May 2015, 08:07 AM

ট্যাবলেট, স্মার্টফোন এমনকি ডেস্কটপ থেকেও ব্রডব্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের অভিজ্ঞতা সবসময় সুখকর নয়। নানা প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে লম্বা সময় ধরে ‘বাফারিংয়ের কবলে’ পরার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এমন জটিলতা কমিয়ে আনার জন্য সম্ভাব্য করণীয় বাতলে দিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট ম্যাশএবল।

১. ইন্টারনেট সংযোগের ‘ব্যস্ততা’ কমান:

ঘরের টিভি, ফ্রিজ, কফি মেশিন এবং হোম সিকিউরিটি ডিভাইসের মতো দৈনিন্দির জীবনের অনেক কিছুই এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরী, বেশি ডিভাইস নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করলে তা সংযোগের গতি ধীর করে দেবে।

এক্ষেত্রে স্ট্রিমিং শুরু করার আগে ইন্টারনেট শেয়ারিং বন্ধ করে দিন এবং যে সব ডিভাইস ব্যবহার করছেন না তা নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিন। যে অ্যাপগুলোর জন্য বেশি ব্যান্ডওয়াইডথের প্রয়োজন হয় সেগুলো স্ট্রিমিংযের সময় ব্যবহার না করলে নেটওয়ার্কের ব্যস্ততা আরও হ্রাস পাবে।

২. অস্থায়ী ক্যাশ এবং ইন্টারনেট ফাইল মুছে দিন

সাধারণত কোন ওয়েব পেইজ প্রদর্শন করতে ব্রাউজার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছোট ছোট অনেক ফাইল ডাউনলোড করে নেয়। ব্রাউজার বন্ধ করে দিলে অপারেটিং সিস্টেম ওই ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিভাবে মুছে দেয়।

ব্রাউজার ঠিকমতো বন্ধ না করেই কম্পিউটার শাট ডাউন করলেন তবে তা অপ্রয়োজনীয় ক্যাশ ও টেম্পোরারি ফাইলের সিংহভাগই ডিলিট হয় না যা পরবর্তীতে ব্রাউজারের গতি কমিয়ে দেয়। তাই স্ট্রিমিং করার আগে, ব্রাউজার সেটিংস থেকে অস্থায়ী ইন্টারনেট ফাইলগুলো মুছে ফেলুন।

৩. রাউটারের ‘চ্যানেল’ পরিবর্তন

ওয়াইফাই ব্যবহারকারীরা স্ট্রিমিংয়ের সময় বাফারিংজনিত সমস্যায় পড়লে রাউটারের চ্যানেল পরিবর্তন করে দেখতে পারেন।

এক্ষেত্রে সঠিক চ্যানেল খুঁজে পেতে ‘অ্যাক্রিলিক ওয়াইফাই’-এর মতো ওয়াইফাই স্ক্যানার ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এই স্ক্যানার ২.৪ এবং ৫ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সির সব চ্যানেল সনাক্ত করবে। একই সঙ্গে আশপাশে মোট কতটি নেটওয়ার্ক চ্যানেলগুলো ব্যবহার করছে তা নির্দেশ করবে।

এভাবে তুলনামূলক কম ব্যস্ত চ্যানেল শনাক্ত করার পর ব্রাউজারে গিয়ে রাউটারের আইপি অ্যাড্রেস টাইপ করে, ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রাউটার সেটিংস থেকে সঠিক চ্যানেল নির্বাচন করুন।

৪) ওয়াইফাইয়ের বদলে ইথারনেট

যদিও বর্তমানে ওয়াইফাইয়ের চলনই বেশি তবে ম্যাশএবলের মতে ‌ইন্টারনেট সংযোগের ধীর গতির একটা বড় কারণ হতে পারে এটি। নেটওয়ার্ক এক্সটেন্ডার কিংবা দ্রুতগতির মডেম কিনেও আশানরুপ ফল নাও পেতে পারেন ব্যবহারকারী।

ব্যভহারকারী যদি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে ভিডিও স্ট্রিমিং করতে চান তবে এক্ষেত্রে ভালো সমাধান হতে পারে ইথারনেট কেবলের ব্যবহার। তবে অ্যাডাপ্টার ছাড়া ইথারনেট কেবল সাপোর্ট করে না বাজারের সিংহভাগ মোবাইল ডিভাইস।

৫) ‘হার্ডওয়ার এক্সেলারেশন’ বন্ধ রাখুন

ডিভাইসে হার্ডওয়ার এক্সেলারেশান অপশনটি চালু বন্ধ রাখুন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের সময়। এই ফিচারটি বন্ধ করতে ডিভাইসের কন্ট্রোল প্যানেলে থেকে ডিসপ্লে সেকশন সিলেক্ট করে সেখান থেকে হার্ডওয়ার এক্সেলারেশন অপশনটি বন্ধ করতে হবে। তবে অপশনটি আবার চালু করে দিতে হবে স্ট্রিমিং শেষে। তা না হলে গেইমিং বা ভিডিও কার্ড সংক্রান্ত কার্যক্রমে জটিলতা দেখা দিতে পারে।