অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা সিমেনটেক ও মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভেরাইজনের প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে সাইবার অপরাধীদের এই দৌরাত্বের খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ৩১ কোটি ৭০ লাখ নতুন ম্যালওয়্যার তৈরি করেছে হ্যাকাররা।
গেল বছরের পুরোটা জুড়েই প্রযুক্তি জগতের মাথা ব্যাথার একটা বড় কারণ ছিল সাইবার নিরাপত্তা ইসু। হার্টব্লিড বাগ, সনির হ্যাকিং এবং বিভিন্ন আর্থিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর বড় পরিসরে পরিকল্পিত সাইবার আক্রমণের ঘটনা খবরের শিরোনাম হয়েছে একাধিকবার।
লক্ষণীয় ব্যাপার হল, গত এক বছরের কয়েক কোটি নতুন ম্যালওয়্যার তৈরি করলেও হ্যাকাররা সবচেয়ে বড় সাইবার আক্রমণের ঘটনাগুলোতে সফটওয়্যারের পুরানো বাগগুলো ব্যবহার করেছে। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে ২০০২ সাল থেকে আছে এমন একাধিক কম্পিউটার বাগের সুযোগ নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা।
“এই বাগগুলো ঠিক করা একেবারেই সহজ মনে হলেও প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন পণ্যের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে। বাগ সমস্যার সমাধানের জন্য যথেষ্ট জনশক্তি আর সময় নেই তাদের।”-- মন্তব্য করেন ভেরাইজনের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বব রুডিস।
শুধু নতুন ম্যালওয়্যারের সংখ্যাই নয়, সাইবার অপরাধীদের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের হার বেড়ে পৌঁছেছে ১১৩ শতাংশে। ভুক্তভোগীদের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও ডেটার বিনিময়ে গড়ে তিনশ’ থেকে পাঁচশ’ ডলার পর্যন্ত মুক্তিপণ দাবি করছে হ্যাকাররা।
সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা কনটেন্টের মাধ্যমে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার ছড়ানোর মাত্রা বেড়েছে আশংকাজনক হারে। সফটওয়্যার আপডেটের সঙ্গে ম্যালওয়্যার জুড়ে দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপরও পরিকল্পিত সাইবার আক্রমণ চালাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা।