বলা হচ্ছে ফ্লাইট ৯৫২৫ বিদ্ধস্ত হওয়ার জন্য প্লেনটির ‘আত্মহত্যাপ্রবণ’ কো-পাইলট আন্দ্রিয়েজ লুবিৎজই দায়ি। এরপরই পাইলট ছাড়াই যাত্রীবাহী প্লেন নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। আবার এধরনের প্লেনে যাত্রীরা কতোটা নিরাপদ বোধ করবেন, বা আদৌ এক্ষেত্রে উৎসাহী হবেন কি না, সেটিও একটি বড় প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে মার্কিন বিমান বাহিনীর সাবেক পাইলট এবং ডিউক ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অধ্যাপক এবং হিউম্যানস ও অটোনমি ল্যাবের পরিচালক মেরি কামিংস বলেন, “বর্তমান প্লেনগুলো নিজে থেকেই উড়তে সক্ষম। একজন পাইলট গড়ে মাত্র ৩ মিনিট প্লেন উড়ান এবং তা না করলেও চলে। শতকরা ৮০ ভাগ বিমান দুর্ঘটনাই ঘটে পাইলটের ভুলের কারণে।”
তিনি আরও জানান, মার্কিন সেনাবাহিনী যে গ্লোবাল হকস ড্রোন ওড়ায় তা প্রচলিত বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবাহী প্লেনের সমান। সেনাবাহিনীর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, পাইলটচালিত বিমানের তুলনায় ড্রোন দুর্ঘটনার সংখ্যা কম।
পাইলট ছাড়াই প্লেন নিয়ন্ত্রণের এই প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত ব্যবসায়িক বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার অংশ হয়ে উঠেনি এবং সামরিক কাজেই ওই প্রযুক্তি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানান কামিংস। আর যাত্রীরাও এই প্রযুক্তি গ্রহন করে নিতে প্রস্তুত নন কামিংসের মতে।
এমআইটির অ্যারোনটিক্স ও অ্যাস্ট্রোনটিক্স বিষয়ের অধ্যাপক জন হানসম্যানের মতে, চালকবিহীন প্লেন এখনও অনেক দূরের বিষয়। এটি প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, এটি সামাজিক আস্থার বিষয়।”
অন্যদিকে পাইলট ছাড়া প্লেন নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে হ্যাকিংয়ের শংকা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ওই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছে মার্কি সংবাদমাধ্যম সিএনএন।