প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পেটেন্ট লঙ্ঘন করার অভিযোগে ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলার জরিমানা দাবি করেছিল স্মার্টফ্ল্যাশ। পরে ৫৩ কোটি ২৯ লাখ ডলার জরিমানা নির্ধারণ করে ফেডারেল জুরি। মামলার পেটেন্টগুলো ছিল আইটিউনস স্টোরের অ্যাপগুলোর “ডেটা স্টোরেজ এবং অ্যাকসেস সিস্টেম” নিয়ে। অ্যাপল ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং আপিল করার পরিকল্পনা করছে।
পেটেন্টগুলো শুধুই কিছু ধারণা এবং ওই পেটেন্ট লঙ্ঘনের জন্য সর্বচ্চ ৪৫ লাখ ডলার জরিমানা হতে পারে, এমনটাই যুক্তি দেখিয়েছে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র ম্যাশএবলকে জানান, “স্মার্টফ্ল্যাশের কোনো মুনাফা নেই, কর্মী নেই, চাকরির সুযোগ নেই, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই, আর অ্যাপলের পেটেন্ট সিস্টেমে আমাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির জন্য রয়্যালটি নেয়ার সুযোগ খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি। আমাদের কর্মীদের উদ্ভাবনের জন্য আমরা ওই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা দিতে রাজি নই।”
স্মার্টফ্যাশকে ‘পেটেন্ট ট্রোল’ বলছেন পর্যবেক্ষকরা, পেটেন্ট করে রয়্যালটি আদায় করাই যেসব প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য। ব্লুমবার্গের মতে, বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কোনো পণ্য নেই এবং ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সাতটি পেটেন্ট করেছে। গুগল, স্যামসাং ও অন্যান্য টেক জায়ান্টগুলোর বিরুদ্ধেও মামলা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে স্মার্টফ্ল্যাশ কোনো মন্তব্য করেনি।