১৪ অগাস্ট মঙ্গলের বুকে বেশ কিছু ছবি তুলেছিল কিউরিওসিটি। বেশিরভাগ ছবিই ছিল ধুলার মধ্যে ডুবে থাকা পাথরের। তবে জল্পনা কল্পনার শুরু একটি বিশেষ ছবি থেকে। ধুলার স্তরের নিচে চাপা পরে থাকা পাথরগুলোর সঙ্গেই পড়েছিল বেশ বড় আকারের একটা ‘হাড়’। দেখতে অনেকটাই মানব শরীরের উরুর হাড়ের মতো ছিল সেটি।
অনেকে তো ভেবেই বসেছিলেন, মহাবিশ্বের মানবসভ্যতা যে একা নয় তার প্রমাণ অবশেষে মঙ্গলেই মিললো। তবে নাসা এই বিষয়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সিনেট ডটকম।
মৃত কোনও প্রাণীর ফসিল নয়, কিউরিওসিটি দীর্ঘ দিন পানি অথবা বাতাসের ঘর্ষণের ফলে ক্ষয় হওয়া একটা পাথরের ছবি তুলেছে বলেই জানিয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সিটি।
সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা ও বিভ্রান্তি ঠেকাতে ছবিটি প্রকাশের পর খুব দ্রুত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও দিয়েছে নাসা।
“মঙ্গলেও যদি কখনও প্রাণের অস্তিত্ব থেকেও থাকে তবে সেটা অনুজীবের মতো ছোট কোনও কিছু ছিল বলেই মনে করেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে কখনও বড় আকারের জীবের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ছিল না। তাই বড় আকারের ফসিলের খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।”--বক্তব্য নাসার।
হাড়ের মতো দেখতে যে বস্তুটি নিয়ে এত উত্তেজনা, মানব দেহের উরুর হাড়ের সঙ্গে পার্থক্যও রয়েছে তার। মানুষের উরুর হাড়ের তুলনায় ছবির বস্তুটি অনেক বেশি বাঁকা বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।