সত্যিকার অর্থ্যে সায়মনই ছিল বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন।
সমসাময়িক মোবাইল ফোনে সহজলভ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রায় সবই ছিল সায়মনে। আরও ছিল অনেকগুলো কম্পিউটিং ফিচার। সায়মনের দুই দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে ‘ইনফর্মেশন এজ’ গ্যালারিতে যোগ হচ্ছে বিশ্বের প্রথম এই স্মার্টফোনটি।
স্মার্টফোনের ফিচার থাকলেও নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে আসা সায়মনকে ‘স্মার্টফোন’ বলে অভিহিত করা তো হতোই না, এমনকি ‘স্মার্টফোন’ শব্দটার প্রচলনও ছিল না তখন।
নাম যাই হোক, এখনকার স্মার্টফোনগুলোর অনেক ফিচারই এতে ছিল বলে জানিয়েছেন সায়েন্স মিউজিয়ামের কিউরেটর শার্লট কনেলি। “এতে অনেক ফিচারই ছিল যা আমরা এখনকার স্মার্টফোনে দেখি। এতে ছিল ক্যালেন্ডার, নোটও নেওয়া যেত, মেসেজে আর ইমেইলও পাঠানো যেত এটি দিয়ে।”
অবশ্য সায়মনকে কোনোভাবেই ‘পকেট সাইজ’ বলার সুযোগ নেই। পুরো আধা কেজি ওজন ছিল সায়মনের। ছিল স্টাইলাস পেন আর এলসিডি স্ক্রিন। নব্বই দশকের দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবলে দেখতেও বেশ আকর্ষণীয় ছিল সায়মন।
প্রযুক্তি জগতে এখন যতো মাতামাতি তার সিংহভাগই স্মার্টফোন নিয়ে। দুই দশক আগে সেই অধ্যায়ের শুরু করেও কেন হারিয়ে গিয়েছিল সায়মন? উত্তর শুনলে চোখ কপালে উঠতে পারে পাঠকদের। সায়মনের ব্যাটারি লাইফ ছিল মোটে এক ঘন্টা!
ব্যাটারি লাইফ যাচ্ছেতাই হলেই বা কী, আকর্ষণীয় ফিচারের অভাব ছিল না আইবিএমের স্মার্টফোনটিতে। ফ্যাক্স মেশিনের সঙ্গেও সংযোগ দেওয়া যেত এটি।
শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই পাওয়া যেত এটি। কম-বেশি ৫০ হাজার সায়মন ইউনিট বানিয়েছিল আইবিএম। দামটা ছিল এই আমল তো বটেই, সে আমলেও তুলনাতেও বেশি, ৮৯৯ ডলার।
তবে যাচ্ছেতাই ব্যাটারি লাইফ আর পকেট ফুটো করে দেওয়া দামের পরেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভালোই সাড়া পেয়েছিল সায়মন। মোবাইল ফোন আর মিনি কম্পিউটার, এই ‘একের ভিতর দুই’ ফিচার কারণেই ব্যবসায়ীদের মনে ধরেছিল স্মার্টফোনটি।