‘নজরদারি’ নিয়ে হুশিয়ারি জাতিসঙ্ঘের

সঠিক বিবেচনা ছাড়াই বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যাপক পরিসরে সাইবার নজরদারি কর্মসূচি চালাচ্ছে বলে সতর্কবার্তা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার উপদেষ্টারা। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের বিপরীতে এই ‘স্টেট সাপোর্টেড এসপিওনাজ’ যেন মাত্রা অতিক্রম না করে সেটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

আজরাফ আল মূতী, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2014, 02:56 PM
Updated : 20 July 2014, 02:56 PM

বিবিসি জানিয়েছে, এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। কীভাবে নজরদারি কার্য্ক্রম চালানো হবে এবং এর প্রয়োজনীয়তার সুনির্দিষ্ট কারণগুলো অবশ্যই সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে—দাবী করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

এ ছাড়াও প্রতিবেদনে জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে এভাবে বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করাকে অপ্রোয়জনীয় বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

বিবিসির তথ্য অনুসারে, জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনার নাভি পিল্লাইয়ের দপ্তর থেকেই এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের অনলাইন কার্য্ক্রমের উপর রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যাপক নজরদারি প্রকল্পগুলোতে স্বচ্ছতার অভাব প্রকোট বলে মন্তব্য করেছেন পিল্লাই।

“এই রাষ্ট্র সমর্থিত সাইবার নজরদারি ব্যতিক্রমী পদক্ষেপের বদলে বিপজ্জনক এক অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে”--বলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যে ইন্টারনেট সেবাদাতা ও মোবাইল সেবদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহক ডেটা সংরক্ষণবিষয়ক জরুরী আইন পাশ হবার পরই জাতিসংঘ এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করল।