এক প্রতিবেদনে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানিয়েছে, বিশ্লেষকদের তৈরি ওই তালিকায় ব্ল্যাকবেরিসহ মোট দশটি ব্র্যান্ডের নাম রয়েছে।
মোবাইল ফোনের জগতে ‘স্মার্টফোন অগ্রদূত’ হিসেবে ব্ল্যাকবেরিকে বিবেচনা করা হয়। এতে ‘সহজভাবে’ ইমেইলের ব্যবহার এবং ডেটা এনক্রিপশনসহ নানা নিরাপত্তাসুবিধা থাকায় ব্যবসায়ী এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অধিকাংশই ব্ল্যাকবেরি ফোন ব্যবহার শুরু করেন। তবে, ২০০৭ সালে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল আইফোনের মাধ্যমে এবং এরপর কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং তাদের ‘গ্যালাক্সি’সহ একাধিক সিরিজের স্মর্টফোনের মাধ্যমে এই বাজারের সিংহভাগ দখল করে নেয়।
২০১৩ সালের হিসেব অনুসারে, পাঁচ বছরে ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোনের বৈশ্বিক বাজার শেয়ার ১৯.৫ শতাংশ থেকে এক শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে।
“কিন্তু এই সাফল্য প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখার মতো যথেষ্ট নয়।”
বিক্রি কমে যাওয়া এবং ব্যবসায়িক ক্ষতির পরিমাণ এবং ক্ষতিকর বাজার শেয়ারের ভিত্তিতে এই তালিকাটি করেছে ২৪/৭ ওয়াল স্ট্রিট। সে দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ব্ল্যাকবেরি ব্র্যান্ডটি।
তবে ক্ষীণ আশার কথা হচ্ছে, এর আগে ২০১২ সালেও ব্ল্যাকবেরি বিলুপ্ত হয়ে যাবার ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২৪/৭ ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকরা।