বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০০০ সিসি কেয়ানে মডেলের গাড়িগুলো ফেরত নেওয়ার খরচও বহন করতে হবে পোর্শকেই।
বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির মূল প্রতিষ্ঠান ফোক্সভাগেন। মালিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, জার্মানিতে প্রায় ১০ লাখ ডিজেলচালিত গাড়ি মেরামত করবে তারা।
এর আগে ২০১৫ সালে ফোক্সভাগেন স্বীকার করেছে যে, দূষণ পরীক্ষায় প্রতারণা করতে তারা ‘ডিফিট ডিভাইস’ ব্যবহার করেছে।
আগের মাসে জার্মান প্রকাশনা দার স্পিগেল-এ প্রথম পোর্শ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এতে বলা হয় পোর্শ কেয়ানে গাড়িতে একটি ‘ওয়ার্ম আপ মোড’ রয়েছে। এই সফটওয়্যারের মূল কাজ নির্গমনের ক্ষেত্রে যে নিয়ম রয়েছে তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
বৃহস্পতিবার ডবরিন বলেন, “এখানে কোনো ব্যাখ্যা নেই কেন এই সফটওয়্যার গাড়িতে রয়েছে। এই গাড়িগুলোতে আধুনিক নির্গমন নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই আমরা মনে করি গাড়িগুলো প্রযুক্তিগতভাবে নির্গমনের মাত্রা ঠিক রাখতে সক্ষম এবং আমরা বিশ্বাস করি পোর্শ শীঘ্রই তাদের সফটওয়্যার নতুন আইনের আওতায় আনবে।”
ইতোমধ্যেই গাড়ি ফেরত নেওয়া শুরু করেছে ফোক্সভাগেন। এ যাবত প্রায় ২৫ লাখ গাড়ি ফেরত নিয়েছে তারা।
এছাড়া ফোক্সভাগেন-এর আরেক গাড়ি নির্মাতা ব্র্যান্ড আউডি ঘোষণা দিয়েছে যে, ইউরোপ জুড়ে ডিজেলচালিত সাড়ে আট লাখ গাড়িতে বিনামূল্যে সফটওয়্যার আপগ্রেড করেবে তারা, এর মধ্যে ছয় লাখ গাড়ি জার্মানিতে রয়েছে।