কারিম বারাতোভ-এর আইনজীবী অ্যামেডিও ডিকার্লো বলেন, তিনি এই মামলা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও ওয়াশিংটনে মার্কিন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। ৭ জুলাই শুনানির দিনে এ নিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়।
চলতি বছর মার্চে ইয়াহু ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দুই রুশ গুপ্তচরসহ চার ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মার্কিন বিচার বিভাগ- ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস (ডিওজে)।
ডিওজে’র আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানা যায়, অপরাধী হ্যাকারদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন রুশ গুপ্তচর সংস্থা এফএসবি’র ওই সদস্যরা। এর আগে ইয়াহু জানিয়েছিল, ৫০ কোটি গ্রাহক অ্যাকাউন্ট ক্ষতিগ্রস্থ করা ২০১৪ সালের সাইবার আক্রমণের পেছনে ‘রাষ্ট্রীয়-পৃষ্ঠপোষকতায়’ থাকা হ্যাকারদের হাত ছিল।
যে দুটি হ্যাকিংয়ের কারণে ভোরাইজনের কাছে নিজেদের বিক্রি করার সময় মূল্য কমাতে বাধ্য হয় এক সময়ের ইন্টারনেট জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি, এটি তার একটি।
এই চার অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন- ৩৩ বছর বয়সী রুশ নাগরিক ও এফএসবি কর্মকর্তা দিমিত্রি আলেকসান্দ্রোভিচ ডকুশেভ, ৪৩ বছর বয়সী রুশ নাগরিক ও এফসবি কর্মকর্তা ইগর আনাতোলাইয়েভিচ সাসচিন, ২৯ বছর বয়সী রুশ নাগরিক ও অধিবাসী অ্যালেক্সে অ্যালেক্সেইয়েভিচ বেলান, ২২ বছর বয়সী কানাডীয় ও কাজাখ বংশোদ্ভূত কারিম বারাতোভ, যিনি কানাডায় বসবাস করতেন।
বারাতোভ জামিন নিতে অস্বীকার করে কানাডার অন্টারিও’র জেলে রয়েছেন।
২০১৪ সালের এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশ পায়। সে সময় ইয়াহু অ্যাকাউন্টধারীদেরর নাম, ইমেইল অ্যাড্রেস, টেলিফোন নম্বর, জন্ম তারিখ ও সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড (হ্যাশ্ড পাসওয়ার্ড) হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য এবং অরক্ষিত পাসওয়ার্ড চুরি হয়নি বলে জানায় ইয়াহুর।