তথ্য প্রযুক্তি খাত নিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারের করা অঙ্গীকারগুলো হচ্ছে-
● সব সরকারি দপ্তরে ই-সেবা চালুর মাধ্যমে সরকারি সেবাকে সহজ, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করা।
● ই-গভর্নেন্স চালুর মাধ্যমে সরকারি কর্মকাণ্ডে দ্রুততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
● ভূমি রেকর্ড ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে ভূমি এবং জলমহাল ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ ও কার্যকরী করা।
● ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
● তথ্য অধিকার আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করা।
● ‘আইসিটি রোড ম্যাপ ফর বাংলাদেশ পাওয়ার সেক্টর’ অনুযায়ী বিদ্যুৎখাতে এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি) বাস্তবায়ন ও একটি সমন্বিত ডেটা সেন্টার স্থাপন করা।
● গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা।
এ অর্থবছরে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো হচ্ছে-
● সরকারের সব নির্বাহী স্তরে ই-গভর্নেন্স চালুকরণ।
● স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহে ই-গভর্নেন্স প্রবর্তন।
● সব পোস্ট অফিসকে পোস্ট ই-সেন্টারে রূপান্তর।
● স্যাটেলাইট সেবার সুষ্ঠু প্রয়োগের মাধ্যমে চরাঞ্চল, উপকূলীয়, পাহাড়ি এবং দুর্গম অঞ্চলসমূহে কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
● দেশে ই-কমার্সের বিকাশের জন্য সুষ্ঠু আইনি, নিয়ন্ত্রণমূলক এবং প্রযুক্তিভিত্তিক কাঠামো গড়ে তোলা।
● ডিজিটাল আর্থিক সেবার প্রসার নিশ্চিত করা।
● সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি ও কারিগরি কাঠামো গড়ে তোলা।
● সব মন্ত্রণালয়/দপ্তর থেকে অনলাইনে তথ্য প্রাপ্তির কৌশল প্রণয়ন।
● ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনিক কাঠামো সৃষ্টি।
● বিদ্যমান সব সরকারি ডেটাবেইসের মধ্যে সামগ্রিক সমন্বয় করা ও তথ্যের আদান-প্রদান নিশ্চিত করা।
● সব নাগরিকের জন্য সমন্বিত নাগরিক ডেটাবেইস (ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার- এনপিআর) তৈরি।
আর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো হচ্ছে-
● ই-গভর্নেন্স মডেল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;
● সরকারি কাজ পরিচালনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির টেকসই সমন্বয়ের স্বার্থে এ প্রক্রিয়ার পরিবর্তন সাধন।
● মোবাইলের মাধ্যমে সরকারের সব সেবা প্রদান।