আনুষ্ঠানিক অভিযোগের এক নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ শেষের দিকে উবারের কয়েকজন নারী সহকর্মী সহায়তা চাইলে ওই পুরুষ কর্মী সহায়তাপ্রার্থীদের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগে অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অফ ফেয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড হাউজিংয়ে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, “একজন পুরুষ সুপারভাইজরের কাছ থেকে লিঙ্গবৈষম্য ও হয়রানির শিকার হওয়ার প্রেক্ষিতে নারীরা ওই ব্যক্তির হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন।” নারীদের কাছ থেকে ঘটনা শোনার পর তিনি উবারের মানবসম্পদ বিভাগে ‘উদ্বেগ প্রকাশ’ করেন বলে নথিতে দাবি করেন।
ওই ব্যক্তির করা অভিযোগ তদন্তের বদলে উবারের মানবসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে বলা হয়, “আমরা কর্মীদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ ফোন কল পাই যা নিয়ে আমরা সব সময় প্রতিক্রিয়া করি না।” তারপর ২০১৬ সালের মার্চে তাকে বহিষ্কার করা হয়, নথিতে এ কথা বলা হয়েছে।
নথিতে সাবেক এই কর্মীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। উবার-কে এ নিয়ে অনুরোধ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি, বলা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে।
ইতোমধ্যে কর্মীদের ভিন্ন একটি অভিযোগ নিয়ে একটি তদন্তের মুখে আছে রাইড-হেইলিং সেবাদাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অপর এক ঘটনায় উবারের সাবেক প্রকৌশলী সুজান ফ্লাওয়ার এক ব্লগ পোস্টে অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানের এক ব্যবস্থাপকের দ্বারা তিনি যৌন হয়রানির শিকার হন। এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও অন্য ব্যবস্থাপকগণ এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা পর্ষদের কর্মকর্তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি দেননি। শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানে তার দুর্বল কার্যক্ষমতার রিভিউ দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় তাকে।
ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাওয়ার তার ব্লগ পোস্টে বলেন, উবার এমন একটি কর্মস্থল যেখানে যৌন নিপীড়ন ‘সাধারণ ঘটনা’ এবং ‘কারও কোনো শাস্তি হয় না’। তার ওই পোস্টের পরই তদন্ত শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। যৌন হয়রানির এ অভিযোগের পর উবার প্রধান ট্রাভিস কালানিক বলেন, “ফ্লাওয়ার যে অভিযোগ এনেছেন তা গুরুতর এবং উবার যে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে ও বিশ্বাস করে এইভিযোগ তার সঙ্গে যায় না।”