চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনাম ফেইসবুক ও গুগল মালিকানাধীন ইউটিউব-এ সরকারবিরোধী ও আক্রমণাত্মক কনটেন্ট নিয়ে অভিযোগ করে। সেইসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমগুলো কোনো সমাধান আনা পর্যন্ত তাদের প্লাটফর্মে কোনো বিজ্ঞাপন না দিতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপ দেয়।
বুধবার ফেইসবুকের বৈশ্বিক নীতিমালা ব্যবস্থাপনা প্রধান মোনিকা বিকার্ট আর ভিয়েতনামের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ট্রুয়োং মিন তুয়ান-এর মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকেই ফেইসবুক এমন অঙ্গীকার করে, ভিয়েতনাম সরকারের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা প্রকাশ করা হয়।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভিয়েতনামের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের অনুরোধগুলোকে প্রাধান্য দিতে তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে ফেইসবুক একটি আলাদা চ্যানেল স্থাপন করবে।”
সেইসঙ্গে ফেইসবুক সরকারি কর্মকর্তাদের ভুয়া কনটেন্ট আর অ্যাকাউন্টগুলো সরাবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ফেইসবুকের একজন প্রতিনিধি বলেন, অবৈধ কনটেন্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে সরকারগুলোর জন্য প্রতিষ্ঠানটির একটি স্পষ্ট ও দৃঢ় প্রক্রিয়া রয়েছে।
“আমরা আমাদের সেবার নীতিমালা ও বিদ্যমান আইনবিরোধী কনটেন্ট নিয়ে আসা সব অনুরোধ যাচাই করি। সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অনুরোধ আর স্থানীয় আইন অনুসারে যেসব কনটেন্ট আমরা আটকে দেই তা নিয়ে আমাদের গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকুয়েস্টস রিপোর্ট-এ স্বচ্ছতা বজায় রাখি”, এক ইমেইল বিবৃতিতে বলেন ওই মুখপাত্র।
রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেইসবুকের প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ভিয়েতনাম সরকারের অনুরোধে ফেইসবুক কোনো কনটেন্ট নিষিদ্ধ করেনি। এটি ফেইসবুকের প্রকাশ করা সর্বশেষ প্রানতর ডেটা।
গুগল আর ফেইসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়ের জন্য ভিয়েতনাম খুবই ছোট অংশ হলেও, এটি এশিয়ার মধ্যে অন্যতম দ্রুত উন্নত হতে থাকা অর্থনীতি ও বৈশ্বিক ভোক্তাপণ্য ব্র্যান্ডগুলোর আকর্ষণীয় লক্ষ্য।
ভিয়েতনামভিত্তিক সংস্থা আইসোবার ভিয়েতনাম-এর তথ্যমতে, ইউটিউব আর ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট ভিয়েতনামের ডিজিটাল বাজারের দুই-তৃতীয়াংশ শেয়ার দখল করে আছে।