প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্টারশিপ টেকনোলজিস-এর তৈরি এ রোবটগুলো গ্রাহকের কাছে পার্সেল পৌঁছে দেওয়ার পরিবর্তে তাদের কাছ থেকে সেটি সংগ্রহ করবে বলে জানানো হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
পরীক্ষার জন্য যে রোবটগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ছয়টি চাকা রয়েছে। এর আগে জার্মানির হামবুর্গে পণ্য সরবরাহ করতে এ ধরনের পাইলট প্রকল্প চালানো হয়।
নতুন এ প্রকল্প নিয়ে ইতোমধ্যেই ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন প্রকল্প চালু হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
“এই মুহুর্তে বড় শহরগুলোতে মানুষের সংখ্যার কারণে হাঁটাচলা করা কষ্টকর। কিছু সময় পর ব্যাপারটা এমন হবে আমাদের রোবটকে এড়িয়ে চলতে হবে। আমি নিশ্চিত নই যে সেটা ভালো কোনো পৃথিবী হবে কিনা,” বলেন ইউনিভার্সিটি অফ স্যালফোর্ড স্কুল অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স-এর অধ্যাপক অ্যান্ডি মিয়া।
ইতোমধ্যেই স্টারশিপ-এর এই রোবটের ব্যবহার শুরু করেছে খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘জাস্ট ইট’। নতুন এই রোবটগুলো ৫৫ সেন্টিমিটার উঁচু এবং ৭০ সেন্টিমিটার লম্বা। ১৮ কেজি ওজনের রোবটগুলো ঘন্টায় ৬.৪ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে বলে জানাও হয়েছে।
আপাতত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের দুই মাইল এলাকায় ৩০ মিনিটের মধ্যে পণ্য সংগ্রহ করতে এটি পরীক্ষা করবে হার্মেস। ১০ কেজি পর্যন্ত কার্গো পরিবহন করতে পারে এই রোবটগুলো। এতে পার্সেলগুলো রোবটের নিরাপদ কুঠুরিতে রাখা হবে। এটি খুলতে একটি নির্দিষ্ট কোড প্রয়োজন পড়বে যা গ্রাহকের স্মার্টফোনে পাঠানো হবে।