চরমপন্থি প্রচারণা আর বিদ্যমান অন্যান্য অবৈধ সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করছে। তাই এদিক থেকে সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
জার্মানি আর ফ্রান্সে সামনের মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর এই নির্বাচনে টুইটার, গুগলের ইউটিউব আর ফেইসবুকসহ সব ধরনের সামাজিক মাধ্যমগুলো যাতে ভোটারদের প্রভাবিত করতে না পারে সে দিকেও লক্ষ্য রাখছে অভ্যন্তরীণ কর্তৃপক্ষ।
এক ব্লগ পোস্টে ফেইসবুক জানায়, তারা ফ্রান্সে প্রায় ৩০,০০০ ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। সব অ্যাকাউন্ট নয়, তবে কিছু অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বেশি সক্রিয় আর অধিক সংখ্যক শ্রোতা রয়েছে এমন জাল অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানায়।
"ফেইসবুকে কার্যকলাপের প্যাটার্ন শনাক্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসব ভুয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি," ফেইসবুক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা দলের ব্যবস্থাপক শাবনাম শাইক এক অফিসিয়াল ব্লগ পোস্টে এই কথা লেখেন।
তাছাড়াও বারবার একই পোস্ট দেওয়া আর অতিরিক্ত মেসেজ পাঠানো হচ্ছে এরকম প্রোফাইলগুলো শনাক্তকরণে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফেইসবুক।
বৃহস্পতিবার জার্মানির এক পত্রিকার পুরো পাতা জুড়ে এক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্তকরণে পাঠকদের সচেতন করতে এই বিজ্ঞাপন দেয় তারা।