মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে টুইটারের মামলা

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর বিরোধিতা করেছে এমন এক টুইটার অ্যাকাউন্টের পেছনে কারা ছিলেন সে তথ্য চেয়েছে মার্কিন সরকার, এই দাবি করে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করেছে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি। সরকারের এমন চাওয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2017, 09:51 AM
Updated : 7 April 2017, 09:51 AM

‘@ALT_USCIS’ নামের পরিচয়হীন এই অ্যাকাউন্ট নিয়েই এই দ্বন্দ্বের শুরু। চলতি বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর এই অ্যাকাউন্ট থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও অন্যান্য বিষয়ে প্রেসিডেন্ট-এর দর্শন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ ক্ষেত্রে এক ডজনেরও বেশি মার্কিন সরকারি সংস্থা এই দর্শনের বিরোধিতা করে বলেও জানানো হয়। এই অ্যাকাউন্ট যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অভিবাসন কর্মীদের চালানো বলে দাবি উঠেছে। 

মামলায় টুইটার-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, এই অ্যাকাউন্ট ‘বর্তমান প্রশাসন আর ডিপার্টমেন্ট নিয়ে জনগণের উদ্বেগ প্রকাশ করা নিয়ে পরিচিত’। কিন্তু “এই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা আগে প্রমাণ করা ছাড়া এই ব্যবহারকারীদের আসল পরিচয়ের তথ্য প্রকাশে মার্কিন সরকার হয়তো টুইটারকে বাধ্য করতে পারে না, এর ওই ব্যবহারকারীদের পরিচয় প্রকাশ করা  এই অপরাধ তদন্তে সবচেয়ে কম নিয়ন্ত্রণমূলক মাধ্যম।”

“যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর অধীনে মুক্তবাকের অধিকার টুইটার ও এর ব্যবহারকারীদের এমন পরিচয় গোপন রাখা ও ছদ্মনামের অ্যাকাউন্ট থেকে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচারের অধিকার দেয়।”

এই মামলায় আসামী পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি চলমান মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) জানিয়েছে, তারা ওই পরিচয় গোপন রাখা টুইটার ব্যবহাকাররীর প্রতিনিধিত্ব করছিল। এই অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার। শীঘ্রই সংস্থাটি  অ্যাকাউন্টের ব্যবহারকারীর পক্ষ থেকে আদালতে নথি জমা দেবে বলে জানায় সংস্থাটি।

এসিএলইউ’র পক্ষ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “পরিচয় গোপন রেখে সরকারের বিরুদ্ধে বলার অধিকার স্পষ্টভাবে প্রথম সংশোধনীর মাধ্যম সুরক্ষিত। টুইটার-কে এর ব্যবহারকারীর অধিকারের জন্য দাঁড়াতে দেখে আমরা সন্তুষ্ট।”

টুইটার জানায়, চলতি বছর মার্চে ওই আক্যাউন্ট সংক্রান্ত রেকর্ড চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কাছে প্রশাসন থেকে সমন জারি করা হয়। মামলার নথির সঙ্গে দেওয়া নথিতে এই সমনের একটি কপি জমা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, কর, জরিমানা আর অন্যান্য শুল্ক ও অভিবাসন বিষয়ে তদন্তের জন্য এই রেকর্ডগুলো প্রয়োজন। কিন্তু কীভাবে এই পরিচয় গোপন রাখা অ্যাকাউন্টের তথ্য এ বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত তা নিয়ে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। 

পুরো বিষয়ে টুইটার কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছে, বলা হয়েছে সাইটটির প্রতিবেদনে।