জার্মানিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) আর ১৯টি দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সংগঠন জি২০-এর এক বৈঠকে তাদের নিজ নিজ দেশে এ ধরনের আক্রমণ ঠেকাতে ও আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে একে অন্যকে সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে, ওই বৈঠকে এক খসড়া নথির সূত্র ধরে জানিয়েছে রয়টার্স।
এতে বলে হয়, “আমরা জি২০ অধিভূক্ত আর্থিক সেবা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থিতিশীল অবস্থা আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষতিকর ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাব, এই ক্ষতিকর ব্যবহার জি২০-এর বাইরের দেশগুলো থেকে করা হলেও।”
২০১৬ সালে নিউ ইয়র্ক-এর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পর থেকে ব্যাংকিং খাতে সাইবার অপরাধ সবচেয়ে প্রাধান্য পাওয়া বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
শনিবার এ নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। ২০১৪ সালে ৫০ কোটি ইয়াহু অ্যাকাউন্ট-এর তথ্য হ্যাকিংয়ের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে জি২০-এর সদস্য দেশ রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থার দুই সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরপরই এমন চুক্তির খবর এল।
ব্যাংকিং খাতে বৈশ্বিক ব্যাংক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট-এর মাধ্যমে আক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আক্রমণের পর ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ আক্রমণের এক পঞ্চমাংশ ক্ষেত্রে তহবিল থেকে অর্থ চুরি করা হয়েছে, ২০১৬ সালের শেষে জানায় সুইফট।
বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও আলোচনায় আসা ঘটনাগুলোর মধ্যে টেসকো ব্যাংক-এর নয় হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ২৫ লাখ পাউন্ড হাতিয়ে নেওয়া, রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে দুইশ’ কোটি রুবল হাতিয়ে নেওয়ার নজিরও ছিল।
ব্যাংক খাতে সাইবার আক্রমণ প্রতিরক্ষায় ব্যাংকগুলোর প্রতিরক্ষা যাচাইয়ের কথা ভাবছে ইইউ।