সিলিকন ভ্যালির এই টেক জায়ান্টের বরাতে বুধবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে ১৭৫ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত নতুন এই ক্যাম্পাসে প্রায় ১২ হাজারের অধিক কর্মীকে স্থানান্তর করতে ছয় মাসেরও বেশি সময় লেগে যাবে।
গোলাকার এই স্থাপনাকে অ্যাপল নাম দিয়েছে ‘অ্যাপল পার্ক’। নির্মিত হওয়ার নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কয়েক মাস পিছিয়ে রয়েছে এটি, জানান এর সাবেক নির্মাণ পরিচালক। দেরীর পেছনের কারনণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এক সাবেক নির্মাণ ব্যবস্থাপক উদাহরণ দিয়ে বলেন, শুধু একটি দরজার হাতলের নকশা করতেই দেড় বছরের বেশি সময় লেগেছে। মূল ভবন এবং পার্শ্ববর্তী উদ্যানের নির্মাণকাজ গ্রীষ্মকালেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। অ্যাপলের ভাষ্যমতে পার্কটিতে যেসব বৈশিষ্ট্য থাকবে তার মধ্যে রয়েছে-
১. অ্যাপল স্টোর এবং ক্যাফেযুক্ত দর্শনার্থী কেন্দ্র, যা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
২. ১০০,০০০ বর্গ ফুটের শারীর চর্চা কেন্দ্র।
৩. নিরাপদ গবেষণা এবং উন্নয়ন কেন্দ্র।
৪. দুই মাইল ব্যাপ্তি বিশিষ্ট হাঁটা এবং দৌড়ের ট্র্যাক।
এবং একটি করে ফলের বাগান, ঘাসের মাঠ ও পুকুর।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বুধবার আরও জানানো হয়, এর ভবিষ্যৎ সদর দপ্তরের ১০০০ আসন বিশিষ্ট থিয়েটারের নামকরণ করা হবে এর প্রয়াত সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের নামে। ২০১১ সালে তার মৃত্যুর আগে এই ১৭৫ একর বিশিষ্ট ক্যাম্পাসটির ডিজাইনে সাহায়তা করেন জবস।
“স্টিভ গুরুত্বপূর্ণ এবং সৃজনশীল পরিবেশ তৈরি ও এর সমর্থনে তার অনেক শক্তি ব্যয় করেছেন”- এক বিবৃতিতে বলেন অ্যাপলের প্রধান ডিজাইনার জনি আইভ। “আমরা আমাদের নতুন ক্যাম্পাসের ডিজাইন, প্রকৌশল এবং নির্মাণ ঠিক সেই উদ্যম ও নির্মাণশৈলীর সংগে সম্পাদন করেছি যা আমাদের পণ্যের বৈশিষ্ট্যের প্রতিরুপ”- যোগ করেন তিনি।
অ্যাপল তাদের নবনির্মিত এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি অংশে বিশেষ আকর্ষণের সংযোজন করেছে যার মধ্যে ২৮ লাখ বর্গফুটের মূল ভবন, পাইপ এবং বৈদ্যুতিক তারের লুকানো বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত বলে চলতি মাসের শুরুতে এক প্রতিবেদনে জানায় রয়টার্স।
২০১১ সালে নতুন এই স্থাপনা পরিকল্পনা উন্মোচন করে অ্যাপল।