মামলায় কোয়ালকম-এর কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০০ কোটি ইউয়ান দাবী করেছে অ্যাপল, বুধবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে বেইজিংয়ের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি কোর্ট।
রয়টার্স জানায়, কোয়ালকম চিপ শিল্পে আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় অপেশাদার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, এমনটাই অভিযোগ অ্যাপলের। এ ছাড়াও লাইসেন্স অনুযায়ী ‘অপরিহার্য পেটেন্ট’ বিস্তৃতভাবে ও সহজে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে অ্যাপল দ্বিতীয় আরেকটি মামলা দায়ের করেছে কোয়ালকম-এর বিরুদ্ধে।
অ্যাপল এবং স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক কর্পোরেশন লিমিটেড উভয়েরই মূল ‘মডেম’ চিপ সরবারহকারী কোয়ালকম, যা ফোনকে তারবিহীন নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করে। সাম্প্রতিক অর্থবছরে কোয়ালকম-এর মোট ২৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের ৪০ শতাংশ এসেছে এই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে।
১৭ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফটিসি (ফেডারেল ট্রেড কমিশন) কর্তৃক অপ্রতিযোগিতামুলক কৌশল ব্যবহার করে মোবাইলে ব্যবহৃত সেমিকন্ডাক্টরের একচেটিয়া বাজার ধরে রাখার অভিযোগের জের ধরেই এবারের মামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া জেলা আদালতে দাখিল করা এ মামলায় অ্যাপল কোয়ালকম-এর বিরুদ্ধে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছে মডেম চিপ প্রযুক্তি লাইসেন্সকরণে অস্বীকৃতি জানানো, চিপের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ এবং প্রতিশ্রুত ছাড়ের ক্ষেত্রে শতকোটি ডলার পরিশোধে অস্বীকৃতি জানানো, একই চিপের জন্য পৃথক লাইসেন্সিং ফি দাবী এবং ইনটেল চিপসেটে তৈরি অ্যাপল ডিভাইসের ক্ষেত্রে বিক্রি ও সেবা প্রদান বন্ধের জন্য নেটওয়ার্ক ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপে রাখার অভিযোগে শতকোটি ডলারের মামলা দায়ের করে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে কোয়ালকম। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে অনৈতিক পেটেন্ট লাইসেন্সিং কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কেএফটিসি (কোরিয়া ফেয়ার ট্রেড কমিশন) ৮৫ কোটি ৪০ লাখ এবং সে বছরেরই ফেব্রুয়ারিতে চীনের বাজারে একক আধিপত্য নিশ্চিত করতে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে দেশটি ৯৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা ধার্য করে।
এই ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি কোয়ালকমের পক্ষ থেকে। তবে, এর আগে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল তারা এফটিসি এবং অ্যাপল উভয়ের সঙ্গেই আদালতে আইনী লড়াই করবে।