চীনা পাঠকদের “স্বাধীন সংবাদ কাভারেজ অ্যাকসেস” থেকে বিরত থাকতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন দৈনিকটি।
অন্যদিকে, অ্যাপল জানিয়েছে, এই অ্যাপ চীনা আইন লঙ্ঘন করে বলে তাদের জানানো হয়েছে। তবে, এ ক্ষেত্রে ঠিক কোন আইন লঙ্ঘিত হয়েছে তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার কারণে অনেকদিন ধরেই পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো চীনে তাদের কনটেন্ট প্রচারে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আর মার্কিন দৈনিকটির সূত্রমতে, ২৩ ডিসেম্বর অ্যাপল চীনের অ্যাপ স্টোর থেকে তাদের ইংরেজি আর চীনা- দুই ভাষার অ্যাপই সরিয়ে নিয়েছে অ্যাপল। মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট-এর এক মুখপাত্রের উদ্ধৃতিও প্রকাশ করেছে দৈনিকটি। মুখপাত্র বলেন, “যখন পরিস্থিতি বদলাবে, অ্যাপ স্টোর আবার চীনে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর অ্যাপ ডাউনলোডের সুযোগ দেবে।”
অ্যাপলকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এ নিয়ে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের রাজনৈতিক প্রভাবশালী ও তাদের পরিবারের লোকজনদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ২০১২ সাল থেকে চীনে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দৈনিকটির মুখপাত্র এলিন মার্ফি বলেন, “আমাদের অ্যাপ সরাতে চীনা সরকারের অনুরোধ তাদের দেশে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর স্বাধীন সংবাদ কাভারেজ থেকে চীনের পাঠকদের বাধা দিতে বড় পরিসরের চেষ্টার একটি অংশ, যে কাভারেজে সাংবাদিকতার দিক থেকে আমরা বিশ্বের অন্যান্য প্রতিটি দেশে যা করি তার সঙ্গে কোনো পার্থক্য নেই।”
চীনা অ্যাপ স্টোর ছাড়া অন্য কোনো সংস্করণে নিবন্ধন করা ব্যবহারকারীরা এখনও এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ওয়াশিংটন পোস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফিনান্সিয়াল টাইমস, এবিসি নিউজ, সিএনএন আর রয়টার্স এখনও অ্যাকসেস করা যাচ্ছে। বিবিসি’র ক্ষেত্রে চীনা ভাষার ওয়েবসাইট বন্ধ আর ইংরেজি ভাষার ওয়েবসাইট ও অ্যাপ দুটিই বন্ধ। এ ছাড়াও চীনে গুগল, ইউটিউব আর ফেইসবুকের মতো কয়েকটি পশ্চিমা ওয়েবসাইট বন্ধ আছে।