অ্যামাজনের স্বয়ংক্রিয় স্টোর

সুপারমার্কেটে গিয়ে কেনাকাটায় ঝামেলা দূর করতে নতুন স্টোর উন্মোচন করেছে মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহরে ‘অ্যামাজন গো’ নামের স্টোরে গিয়ে ক্রেতাদেরকে বিল পরিশোধের জন্য আর লম্বা সারিতে দাঁড়াতে হবে না।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2016, 11:06 AM
Updated : 6 Dec 2016, 11:06 AM

রয়টার্স জানিয়েছে, উন্নত প্রযুক্তির এই স্টোরে ঢুকে শুধু পছন্দের পণ্য নিয়ে নিলেই হবে। এজন্য কোনো চেকইন বা সারিবদ্ধ্ হয়ে মূল্য পরিশোধের প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে গ্রাহক কী পণ্য নিচ্ছেন সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করা হবে এবং সেই মোতাবেক তার অ্যাকাউন্ট থেকে মূল্য কেটে নেওয়া হবে।

স্টোরে ঢোকার মুখে গ্রাহক একটি ইলেকট্রিক মেশিনে স্মার্টফোনের মাধ্যমে তার অস্তিত্ব জানান দেবেন। এক্ষেত্রে গ্রাহকের স্মার্টফোনের অ্যাপে একটি কিউআর কোড দেখানো হবে। প্রবেশ পথে এই কোডটি যাচাই করে গ্রাহককে শনাক্ত করা হবে।

একবার স্টোরে ঢোকার পর সেখানকার ক্যামেরাগুলো গ্রাহককে শনাক্ত করে তাকে ট্র্যাক করতে থাকবে। গ্রাহক তাক থেকে কোন পণ্য তুলছেন সেটিও নির্ণয় করা হবে এবং তা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে কেনাকাটার তালিকায় যোগ হবে। এমনকি গ্রাহক যদি কোনো পণ্য তাক থেকে উঠিয়ে পুনরায় সেখানে রেখে দেন তবে সেটি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

কেনাকাটা শেষে গ্রাহক স্টোর থেকে বের হওয়া মাত্রই তার স্মার্টফোনে কী কী পণ্য কেনা হয়েছে তার তালিকা দেখানো হবে এবং তার অ্যামাজন অ্যাকাউন্ট থেকে মূল্য কেটে নেওয়া হবে।

তাক থেকে কী কী পণ্য তোলা হচ্ছে সেটি সেন্সরের মাধ্যমে বের করা হবে এবং ক্যামেরার মাধ্যমে কে পণ্যটি তুলছেন তা শনাক্ত করা হবে বলে জানানো হয়। নতুন চালু হওয়া এই সুপারমার্কেটটির আয়তন ১৮০০ বর্গফুট।

আপাতত শুধু অ্যামাজনের কর্মীরাই এতে কেনাকাটা করতে পারবেন। পরীক্ষা সফল হলে ২০১৭ সালের শুরুর দিকেই এটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এ ধরনের দুই হাজার স্টোর খোলার পরিকল্পনা করছে অ্যামাজন। আর তা সুপারমার্কেটগুলোর ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জ্যাকড রিসার্চ-এর বিশ্লেষক জান ডসন বলেন, “যদি দেশজুড়ে এ ধরনের শত শত স্টোর হয় তবে সেটি সুপারমার্কেট চেইনের জন্য বড় ধরনের হুমকির কারণ হবে।”

এ যাবত শুধু অনলাইনেই পণ্য বিক্রি করে আসছিল অ্যামাজন। নতুন এই স্টোরের মাধ্যমে প্রথম বাস্তব স্টোর উন্মোচন করলো প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি।