রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপে ইসলামিক স্টেট-এর সহিংসতায় চিহ্নিত চলতি বছরে থাকা সাইবার অপরাধের হুমকি নিয়ে বার্ষিক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলে, "বর্তমানে ক্ষুদ্র পরিমাণে এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে যা থেকে বোঝা যায়, সাইবার আক্রমণের সক্ষমতা শুধু সাধারণ ওয়েবসাইট বিকৃত করাকে ছাড়িয়ে গেছে।"
'বিক্রয়যোগ্য সেবা হিসেবে সাইবার অপরাধ' করতে আগ্রহী কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের জঙ্গি সংগঠনগুলো কাজে লাগাতে পারে, এমন আশংকা রয়েছে। ইউরোপোল বলে, "সাইবার অপরাধ টুল, সেবা আর ডার্কনেটে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেআইনি পণ্যের সহজলভ্যতা এই অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে।"
সব মিলিয়ে ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, ইউরোপে সাইবার অপরাধের হার বাড়ছে। সেইসঙ্গে ইইউ’র কিছু কিছু সদস্য রাষ্ট্র প্রচলিত ঘরানার বেশি সাইবার অপরাধ পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
ইউরোপোল পরিচালক রব ওয়েইনরাইট এক বিবৃতিতে বলেন, "সাইবার অপরাধী সম্প্রদায় কীভাবে বিস্তৃত হচ্ছে আর প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটে আমাদের নির্ভরতা কাজে লাগাতে সক্ষম হচ্ছে তা নিয়ে ইউরোপোল উদ্বিগ্ন।"
সংস্থাটির জন্য আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ডেটাবেইস হ্যাক করে মুক্তিপণ দাবি করা, যা র্যানসমওয়্যার নামে পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে এমন সাইবার আক্রমণের সংখ্যাও বাড়ছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ব্যাংকের ক্যাশ-মেশিন নেটওয়ার্কে হামলার ঘটনাও বাড়ছে। এর ফলে বাড়ছে কনটাক্টবিহীন লেনদেন কার্ডের মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা।