"কম মূল্যে ভালো মানের দ্রুতগতির ইন্টারনেট" সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই জাতীয় ইন্টারনেট সেবা ইরান চালু করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে, সমালোচকেরা ধারণা করছেন নাগরিকের ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেইসবুক বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। যদিও প্রক্সি এবং ভিপিএন দিয়ে দেশটিতে এখনও অনেকেই এগুলো ব্যবহার করছেন।
২০১০ সালেই 'জাতীয় ইন্টারনেট' সেবা চালু করার পরিকল্পনা হাতে নেয় ইরান। ২০১৫ সালে এটি সম্পূর্ণভাবে চালু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি ২০১৬ তে বাস্তবায়িত হয়। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসলামিক কন্টেন্ট প্রচারণা এবং ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আলাদা অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট সেবা চালু করাই তাদের লক্ষ্য।
নতুন এই ইন্টারনেট সেবা পুরানো ইন্টারনেট সেবার স্থলাভিষিক্ত হবে। ফিল্টারের মাধ্যমে গ্রাহক ইন্টারনেটে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানানো হয়।
"সকল অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম, সেবা, অ্যাপ্লিকেশন এবং বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট, এই জাতীয় ইন্টারনেট সেবার আওতায় থাকবে।"
তিন স্তরে এই জাতীয় ইন্টারনেট সেবাদান সম্পন্ন করবে ইরান। প্রথম পর্যায়ে ই-গভর্নমেন্ট সেবা এবং অভ্যন্তরীণ ওয়েব পেইজের অনুমতি দেওয়া হবে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ ভিডিও কন্টেন্ট যোগ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের জন্য অন্যান্য সেবা চালু করা হবে।
দেশটির নতুন ইন্টারনেট সেবায় ব্যবহারকারীর গোপনীয়তাকে সম্মান দেখানো হবে বলে জানানো হয়।