সাম্প্রতিক এক গবেষণায় কৃষ্ণগহ্বর ও ওয়ার্মহোলের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ গবেষণার ফলাফলে কৃষ্ণগহ্বরকেই মহাশূন্যের অন্যান্য অংশে বিচরণের মাধ্যম হিসেবে দেখানো হয়।
ক্ল্যাসিকাল অ্যান্ড কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি জার্নালে প্রকাশিত নতুন এ তত্ত্বে কৃষ্ণগহ্বরের কেন্দ্রে স্পেইসটাইম অসীমতক পর্যায়ে বিকৃতির মাধ্যমে "সিঙ্গুলারিটি" সৃষ্টি এবং এতে পড়ে যাওয়া সব বস্তু ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ধারণাটি পরিহার করা হয়। এর বদলে বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত একেবারে সাধারণ অঘূর্ণনশীল একটি কৃষ্ণগহবরের কেন্দ্রে খুবই ক্ষুদ্র একটি গোলকাকার "ওয়ার্মহোল"-এর অস্তিত্বের কথা বলা হয়। এর মধ্য দিয়ে কোনো জীব বা জড়বস্তু পার হওয়ার সময় তা "স্প্যাগেটি" আকৃতিতে প্রসারিত হতে পারে। কৃষ্ণগহ্বরের অন্য প্রান্ত দিয়ে বেরোনোর পর তা আবার আগের আকৃতিতে ফিরে এলেও স্বভাবতই এতে কোনো মহাকাশচারীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা শূন্য। তবে এ ওয়ার্মহোল সৃষ্টি হতে বিপুল পরিমাণ "বিশেষ ধরনের" শক্তির প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয় এতে।
আইনস্টাইনের অভিকর্ষ তত্ত্ব অনুযায়ী অনুসারে ওয়ার্মহোল শুধু অতি বিরল গুণাগুণসম্পন্ন কিছু বস্তুর উপস্থিতিতেই উদ্ভুত হতে পারে। এতে ঋণাত্মক মাত্রার শক্তি, চাপ বা ঘনত্ব বিরাজমান। তবে এমন কোনো পদার্থ এখনও আবিষ্কৃত হয় নি।
স্পেনের ইউনিভার্সিটি অফ ভ্যালেন্সিয়া-এর গবেষক ড. গনজালো অলমো বলেন, "আমাদের তত্ত্ব স্বভাবতই বৈদ্যুতিকভাবে চার্জিত কৃষ্ণগহ্বর সংক্রান্ত ধারণার কিছু সমস্যা সমাধান করে। প্রাথমিকভাবেই আমরা সিঙ্গুলারিটির সমস্যাটি সমাধান করেছি, যেহেতু কৃষ্ণগহ্বরের কেন্দ্রে ওয়ার্মহোল রয়েছে যার মধ্য দিয়ে মহাশূন্য এবং সময় অবিরত চলতে পারে। আমাদের তত্ত্ব অনুযায়ী তড়িৎক্ষেত্রের মতোই ওয়ার্মহোল সাধারণ বস্তু ও শক্তির মধ্য থেকেই উদ্ভুত হতে পারে।"