উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অফ অনার’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার (আইটিইউ) মহাপরিচালক হাওলিন ঝাও। হাওলিন ঝাও ছাড়াও সম্মেলনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ২৫ জনেরও বেশি বক্তা বিভিন্ন সেশনে বক্তা হিসেবে থাকবেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি সজীব ওয়াজেদ বলেন, "তথ্য-প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন সূচক উপরে দিকে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। ‘বিপিও সামিট ২০১৬’ আয়োজনের মধ্যে বিশ্বের কাছে বিপিও ক্ষেত্রে বাংলদেশের সাফল্যের বিষয় তুলে ধরা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-লার্নিং ল্যাব তৈরি করেছি। আগামীতে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।"
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার (আইটিইউ) মহাপরিচালক হাওলিন ঝাও বলেন, "বাংলাদেশ বিপিও সেক্টরে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। এই ধারা বজায় রাখতে হবে। বিপিও সেক্টরে এগিয়ে যাওয়া দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।"
প্রতিমন্ত্রী বলেন, "আমাদের পাশের দেশ ভারত, শ্রীলংকা ও ফিলিপাইন বিপিও সেক্টরে সবচেয়ে ভালো করেছে। বিপিও সেক্টরে সারা বিশে^র ৬০০ বিলিয়ান ডলারের মধ্যে ভারত প্রায় ১০০ বিলিয়ন, ফিলিপাইন ১৬ বিলিয়ন এবং শ্রীলংকা ৩ বিলিয়ন ডলার আয় করছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে এই খাতে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করা।"
ডাক টেলিযোগাযোগও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ বলেন, "বিপিও সেক্টরে বহু লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। এই খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের এই খাতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।"
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদ বলেন, "বিপিও সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিটিআরসি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। বিপিও সেক্টর ও বিটিআরসি যৌথভাবে কাজ করছে।"
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিপিও ক্ষেত্রে দেশের অবস্থান তুলে ধরে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কলসেন্টার এন্ড আউটসোসিংয়ের (বাক্য) সভাপতি আহমাদুল হক।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো দুই দিনের আয়োজনে ২০ জন আন্তর্জাতিক তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকছেন। এছাড়া দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের প্রায় ৫০ জন সফল ব্যক্তি অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন। এ সময়ে তারা তরুণদের মাঝে তাদের সফলতার কথা তুলে ধরবেন। দুই দিনের এ আয়োজনে ২৫ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর উপস্থিতি আশা করছেন আয়োজকরা। পুরো আয়োজনটি অনলাইনে সরাসারি সম্প্রচার করা হচ্ছে। ভেন্যুতে রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা।