মানুষের কর্মক্ষেত্র কমিয়ে দিচ্ছে রোবট। রোবটের কাজের উপর কর্ বসানো তাই এখন সময়ের দাবি মাত্র, ভাষ্য সিএনএন-এর।
সম্প্রতি ইউরোপিয় ইউনিয়ন-এর প্রকাশিত রোবটিক্স-এর এক খসড়া প্রতিবেদনে সতর্ক করে জানানো হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্রমবর্ধমান স্বয়ংক্রিয়তা বৈধ ও নৈতিক চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করলেও ভবিষ্যতে এর ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে।
"কয়েক দশকের মধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমনভাবে মানুষের বুদ্ধিমত্তার সীমা অতিক্রম করছে, যদি আমরা এটি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করি তাহলে গোটা মানবজাতির টিকে থাকা 'চ্যালেঞ্জ' হয়ে দাড়াবে"- এমনটাই উঠে এসেছে খসড়ায়।
এই প্রতিবেদনে রোবটের ক্রমোন্নতির জন্য ইউরোপের প্রস্তুতির বিষয়ে কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এটি শিল্প বিপ্লবের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে বলে ধরা হচ্ছে।
প্রস্তাবে রোবট-কে কর্তৃপক্ষ দিয়ে নিবন্ধন করাতে সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে যন্ত্রের কারণে ঘটা ক্ষতির ব্যাপারে আইন করতেও ওই প্রস্তাবে আহ্বান জানানো হয়, এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে চাকরির ক্ষতির কথা বলা হয়। এই প্রস্তাবে আরও জানা যায়, মানুষ আর রোবটের মধ্যে স্বচ্ছ যোগাযোগ থাকা প্রয়োজন যাতে মানুষের "নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, সততা, সম্মান আর স্বায়ত্তশাসনের" উপর গুরুত্ব দেওয়া যায়।
প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয় যে, যদি উন্নত রোবট প্রচুর শ্রমিক প্রতিস্থাপন করতে থাকে তাহলে তার মালিকদের কর্ আর সামাজিক নিরাপত্তা দিতে বাধ্য করতে হবে। এটি মূলত একটি মৌলিক আয়, যা মানুষের বেকারত্বের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে।