প্রযুক্তি ব্যবহারেও 'হ্যাংওভার' !

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পর আগের দিন রাতের মদ্যপানের কারণে মাথা ব্যাথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ, যাকে হ্যাংওভার বলা হয়, তা হয়ত অনেকের কাছেই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকের বেলাতেই মাথা ব্যাথার কারণটা যে প্রযুক্তিভিত্তিক 'হ্যাংওভার'ও হতে পারে, তা হয়তো অনেকেরই মাথায় আসবে না, ভাষ্য ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর-এর।

রিয়াদ মোর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2016, 10:58 AM
Updated : 31 May 2016, 10:58 AM

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৬ শতাংশ ব্রিটিশ এই প্রযুক্তির কারণে সৃষ্ট হ্যাংওভারের মুখোমুখি হন, যার ফলে তারা চোখে ঝাপসা দেখা, ক্লান্ত লাগা আর ব্যাথার মতো সমস্যায় ভোগেন।

গবেষণায় আরও জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ৩৬ শতাংশ ব্রিটিশ চোখে ব্যাথা অনুভব করেন এবং এর সঙ্গে ১৭ শতাংশ ব্রিটিশ মাথাব্যাথার সমস্যাটিও স্বীকার করেছেন।

৪৫ শতাংশ ব্রিটিশ স্বীকার করেন, প্রযুক্তির বেশি ব্যবহার তাদের ক্লান্ত করে তোলে এবং ২৬ শতাংশ ব্রিটিশ দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে তারা ঝাপসা দেখেন বলে জানান।

প্রযুক্তি ডিভাইসগুলো ব্যবহারের ফলে আবেগেও প্রভাব পড়ে। অনলাইন দুনিয়ায় বেশি সময় অতিবাহিত করা প্রতি ২০ জনে একজন ব্রিটিশ নাগরিক নিজেকে কম-আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ভাবেন।

গবেষণার প্রতিবেদনে দেখা যায়, বর্তমানে ব্রিটিশ নাগরিকরা প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারের মতো জনপ্রিয় ডিভাইসগুলোর পেছনে খরচ করেন।

২১ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক দাবী করেন, দীর্ঘ সময় অনলাইনে থাকার ফলে তারা বুঝতে পারেন তাদের মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে এবং ১৫ শতাংশ ব্রিটিশ জানান, স্ক্রিনের দিকে বেশি সময় তাকিয়ে থাকলে ঘুমের নিয়মে সমস্যা হয়।

এই গবেষণার পেছনে থাকা প্রতিষ্ঠান রেসকিউ রেমিডি-এর একজন মুখপাত্র বলেন, "বর্তমান সময়ে, আমরা চরম ব্যস্ত থাকি, আর প্রযুক্তি বন্ধু আর পরিবারের সঙ্গে আমাদের যুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।"

তিনি আরও বলেন, "গবেষণার ফলাফল বিবেচনা করে বলা যায়, আমরা সবাই আমাদের ফোন আর সামাজিক মাধ্যম থেকে কিছুটা সময় কমিয়ে এনে আমাদের ভালো থাকা আরও উন্নত করতে পারি।"

প্রতিবেদনটি আরও জানায়, প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ব্রিটিশরা আপডেট জানার জন্য গড়ে তাদের স্মার্টফোনটি ৩৩ বার খুলে দেখেন।