'রিইউজেবল লঞ্চ ভেইকল (আরএলভি-টিডি)' নামের ৭মি.-স্কেলের এ মডেলটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ থেকে উড্ডয়ণ করে সাগরে এসে পড়ার আগে ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডলে ৭০ কি.মি. (৪৩ মাইল) উচ্চতায় পৌঁছে বলে জানায় বিবিসি।
এক শতকোটি রুপি (১ কোটি ৪০ লাখ ডলার) ব্যয়ে নির্মিত ১.৭৫ টন ভরের এ মহাকাশযানটি নিক্ষেপণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)-এর জন্য হাইপারসনিক গতি ও স্বয়ংক্রিয় অবতরণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজ্ঞানীদের 'কঠোর প্রচেষ্টাকে' প্রশংসায় ভূষিত করেছেন।
শেষ কয়েক বছর ধরেই ভারত সরকার দেশটির মহাকাশবিষয়ক গবেষণায় বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে। ২০১৩ সালে দেশটি থেকে নিক্ষিপ্ত মার্স অর্বিটারটি তাদের এই প্রচেষ্টার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফসল। এ দশকের মধ্যেই পূর্ণ আকারের পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান নিক্ষেপণে সফলতার ব্যাপারে আশাবাদী দেশটি।
বিবিসি জানায়, ২০১১ সালে নাসা তার স্পেস শাটল প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এতে সফল হলে মহাকাশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
বর্তমানে ভারত ছাড়াও জাপান, ইউরোপ এবং রাশিয়া একই ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।