যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন-এ নাসার প্রধান কার্যালয়ের প্রধান বিজ্ঞানী এলেন স্টোফেন সংস্থাটির অফিসিয়াল সাইটে বলেন, “এই ঘোষণা কেপলার থেকে পাওয়া গ্রহের সংখ্যা আগের গ্রহের সংখ্যার দিগুণেরও বেশি।" সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “এটি আমাদের আশা যোগাচ্ছে যে, আমাদের গ্রহের মতো কোনো নক্ষত্রের চারপাশে কোথাও না কোথাও আমরা আরেকটি পৃথিবী আবিষ্কার করতে পারব।"
নাসার সাইটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ-এর গ্রহ অনুসন্ধানী তালিকা থেকে এই বিশ্লেষণা করা হয়। যেখানে ৪৩০২টি সম্ভাব্য গ্রহ চিহ্নিত করা হয়েছে। ঐ তালিকা থেকে ১২৮৪টির ক্ষেত্রে ‘গ্রহ' নামটি অর্জন করার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশের বেশি। আর ১৩২৭টি 'সম্ভাব্য গ্রহ' অনেকটা আসল গ্রহের মতো দেখতে হলেও তারা ৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা অর্জন করে না, এগুলো নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। বাকি ৭০৭টি সম্ভাব্য গ্রহতে অন্যান্য জ্যোতিঃপদার্থবিষয়ক বৈজ্ঞানিক ঘটনা দেখা যায়। এর আগে এই বিশ্লেষণায় ৯৮৪টি সম্ভাব্য গ্রহকে অন্য কৌশলের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।
নিউ জার্সির প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি-এর সহযোগী গবেষক এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের শীর্ষ লেখক টিমোথি মরটন-কে প্রতিটি 'সম্ভাব্য গ্রহের' গ্রহ হওয়ার শতকরা সম্ভাবনা বের করতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে নাসা।
মরটন বলেন, "সম্ভাব্য গ্রহগুলোকে টুকরো করা রুটির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যদি কয়েকটি বড় টুকরা মেঝেতে পড়ে যায়, একটি একটি করে তোলা সম্ভব কিন্তু যদি অনেকগুলো ছোট টুকরা একসঙ্গে পড়ে যায় তাহলে একটি ঝাড়ু দরকার হবে। পরিসংখ্যানগত এই বিশ্লেষণটি হল ঝাড়ু।"