রুশ হ্যাকারের হাতে কোটি কোটি ইমেইল পাসওয়ার্ড

বিভিন্ন ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পাওয়া কোটি কোটি ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড নিয়ে রাশিয়ায় সাইবার অপরাধ জগতে ‘বাণিজ্য’ হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2016, 01:59 PM
Updated : 6 May 2016, 02:22 PM

তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হোল্ড সিকিউরিটি নামে একটি নিরাপত্তা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ২৭২.৩ মিলিয়ন অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরির এ বিষয়টি উদঘাটন করে।

হোল্ড সিকিউরিটির তথ্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা অ্যালেক্স হোল্ডেন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হ্যাকিংয়ের শিকার এসব অ্যাকাউন্টের অধিকাংশই রাশিয়ার জনপ্রিয় ইমেইল সেবা রাশিয়ান মেইল (Mail.ru) ব্যবহারকারীদের।

এছাড়া জিমেইল, ইয়াহু ও মাইক্রোসফটের ইমেইল সেবা ব্যবহারকারীদের কিছু অ্যাকাউন্টও হ্যাকড হয়েছে বলে জানান হোল্ডেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক ও রিটেইলারদের ওপর সাইবার আক্রমণের পর ‘চুরি করা ব্যক্তিগত তথ্যের’ সবচেয়ে বড় ভাণ্ডার এটি।

হোল্ডেন এর আগে বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় সাইবার আক্রমণের ঘটনা উদঘাটনে কাজ করেছেন, যেসব ঘটনায় ‘অ্যাডোব সিস্টেমস’, ‘জেপিমরগান’ ও ‘টার্গেট’ এর লাখ লাখ ব্যবহারকারী ক্ষতির ঝুঁকিতে পড়েন হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হোল্ড সিকিউরিটির গবেষকরা একটি অনলাইন ফোরামে দেখতে পান, তরুণ এক রাশিয়ান হ্যাকার বিপুল পরিমাণ ‘চুরি করা তথ্য’ নিয়ে গর্ব করে বলছে, প্রায় ১.১৭ বিলিয়ন ‘রেকর্ড’ সে দিতে পারে।

হোল্ডেল বলেন, সেখান থেকে ডুপ্লিকেট নামগুলো বাছাইয়ের পর রাশিয়ান মেইল ব্যবহারকারীদের ৫৭ মিলিয়ন অ্যাকাউন্টের তথ্য সেখানে পাওয়া যায়, যেখানে রাশিয়ান মেইলের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যাই ৬৪ মিলিয়নের মতো।

এর বাইরে আরও কয়েক কোটি অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়, যেগুলো জিমেইল, মাইক্রোসফট ও ইয়াহু ব্যবহারকারীদের। জার্মান ও চীনা ই মেইল সেবাদাতা কোম্পানির ব্যবহারকারীদের বিপুল পরিমাণ অ্যাকাউন্টও সেখানে রয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্যের ওই গুপ্তভাণ্ডারের জন্য রাশিয়ান মুদ্রায় মাত্র ৫০ রুবল (এক ডলারের কম) চেয়েছিলেন ওই হ্যাকার। তবে হোল্ড সিকিউরিটির গবেষকরা হ্যাকারদের ফোরামে তার সম্পর্কে ভাল মন্তব্য করতে রাজি হওয়ায় বিনা পয়সায় সেসব তথ্য দিয়ে দেন তিনি। 

অ্যালেক্স হোল্ডেন বলেন, এসব তথ্য বহুভাবে ব্যবহার করা যায়। আর্থিক চুরির ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে ফাঁস হওয়া এসব ব্যক্তিগত তথ্য।

এসব অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ডের মধ্যে কতগুলো এখনও সচল আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রাশিয়ান মেইল রয়টার্সকে জানিয়েছে।