ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানটি তাদের বিজ্ঞাপন ব্যবসায় ক্রমাগত লোকসানের পর তাদের কেন্দ্রীয় ব্যবসা বিক্রি করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ২০১২ সাল থেকে মায়ার ইয়াহু’র ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করে আসছেন। তবুও, সমালোচকদের মতে, তিনি ইয়াহুর পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জেস কমিশন জানায়, এক বছরের মধ্যে যদি মায়ারকে চাকরিচ্যুত করা হয়, তাহলে তিনি এককালীন নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ, শেয়ার এবং আরও কিছু সুবিধা পাবেন।
শেষ এক দশকে নাটকীয়ভাবে ইয়াহুর অবস্থা খারাপ হয়েছে। ২০০৮ সালে ইয়াহুর বিক্রি ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার থেকে ২০১৫ সালে ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলারে এসে পৌঁছায়। মায়ার ২০১৫ সালে ৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার ভাতা পান, যেখানে ২০১৪ সালে পেয়েছিলেন ৪ কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলার। অন্যান্য কার্যনির্বাহীগণও বড় অঙ্কের ভাতা পাবেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থবিষয়ক কর্মকর্তা কেন গোল্ডম্যান পাবেন ১ কোটি ৬১ লাখেরও বেশি, এবং প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা লিসা উটস্নেইডার পাবেন মোট ১ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার।
ইয়াহু-এর একজন শেয়ারধারী স্প্রিংআউল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক জ্যাকসন বলেন, “আমি মনে করি না এই পরিচালনা দলটি এত বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার মতো কোনো কাজ করেছে।”
ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানটির ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের একটি বড় অংশ চীনা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা'র শেয়ার অংশীদারিত্বে আরোপিত রয়েছে। ইয়াহু-এর মালিকানায় আরও রয়েছে টাম্বলার এবং ছবি শেয়ারিং সাইট ফ্লিকার।
মার্কিন যোগাযোগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ভেরাইজন এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডেইলি মেইল নিউজপেপার-এর মালিক ইয়াহু-এর বিক্রির সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ বছর এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বক্ষরিত হতে পারে।