রয়টার্স জানিয়েছে, শেয়ার বাজারের শেষ পাঁচটি সেশনে অ্যাপলের শেয়ার পড়েছে ১১ শতাংশ। যার ফলে বাজার মূলধনও ৬ হাজার ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার কমেছে এই প্রতিষ্ঠানের। শুধু তাই নয় গত ১৩ বছরে এবারই প্রথম রাজস্ব কমেছে অ্যাপলের। আর সে কারণেই অনেক শেয়ারধারীই এখন তাদের সম্পূর্ণ শেয়ারই বেচে দিচ্ছেন বলেও জানানো হয়।
এই শেয়ার পতন নিয়ে ডেস্টিনেশন ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট-এর প্রধান নির্বাহী মাইকেল ইয়োশিকামি বলেন, “যদি আপনি অ্যাপলের শেয়ার কিনতে যান, তবে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্যই কিনতে হবে, কারণ সামনের দুই এক বছর আরও কঠিন হবে।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনের বাজারই ছিল অ্যাপলের মূল লক্ষ্য। তবে সেখানেও লোকসানের মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে চীনে অ্যাপলের রাজস্ব কমেছে ২৬ শতাংশ। চীনে অনলাইন প্রচারের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা অনু্যায়ী গত সপ্তাহেই আইবুকস স্টোর এবং আইটিউনস মুভি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বেকার ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট-এর এক কর্মকর্তা অ্যাপলের শেয়ারধারী প্যাট বেকার জুনিয়র বলেন, “এই জোয়ারটা একটু বাড়ছে, কিন্তু সামনের বসন্তে নতুন আইফোন উন্মোচনের সঙ্গে এই অবস্থার উন্নতি হবে। এটি একটি সুযোগ।”
মার্চের শেষে অ্যাপল শেয়ারের লক্ষ্য মূল্য ১৩০ মার্কিন ডলার থেকে কমে ১২০ ডলারে দাড়িয়েছে। আর ২৯ এপ্রিল দিন শেষে এই মূল্য এক দশমিক ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৯৩.৭৫ ডলার।