পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান পাঠাবে ভারত

জুনে নতুন মহাকাশযান প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। পুনঃব্যবহারযোগ্য যানকে বায়ুমণ্ডলে নিক্ষেপ করে তা পুনরায় পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা প্রদর্শনে এ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।

ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স-এর এক অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশন (ISRO)-এর চেয়ারম্যান এএস কিরন কুমার জানান, মহাকাশযানের আকৃতির ডানাযুক্ত এই যান ভারতের শ্রীহারিকোটায় 'স্পেসপোর্ট'-এ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। শ্রীহারিকোটা, চেন্নাই থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাংশে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে অবস্থিত।

মহাকাশ গবেষণার কাজ অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায়, মহাকাশ সংস্থাটি ভবিষ্যৎ কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যয় কমানোর জন্য 'টু-স্টেইজ-টু-অরবিট' পুনঃব্যবহারযোগ্য যান (RLV-TD) বেছে নিয়েছে। ইতোমধ্যেই ভারতের ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ল্যাবরেটরিজ (NAL)-এ এর 'হাইপারসনিক ফ্লাইট', 'অটোনোমাস ল্যান্ডিং', 'পাওয়ারড ক্রুজ ফ্লাইট'-এর কয়েকটি পরীক্ষা চালানো হয়েছে।

দেশটির এয়ার চিফ মার্শাল এলএম খাতরে-এর নয় বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে কিরন কুমার বলেন, "যানটিক ৭০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়বে এবং বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশের জন্য পাঠানো হবে। বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশের জন্য যানটিকে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ এবং ঘর্ষণজনিত তাপ সহ্য করতে হবে।"

প্রোটোটাইপ যানটির আয়তন মূল যানের এক-ষষ্ঠাংশ, তাই এটার জন্য 'পোলার' কৃত্রিম উপগ্রহ ছাড়ার যানটির প্রয়োজন হবে না বলেও জানান আইএসআরও প্রধান।

মহাকাশ সংস্থাটি 'জিওসিনক্রোনাস' কৃত্রিম উপগ্রহের দ্বিতীয় সংস্করণের জন্যও কাজ করছে। এটা পৃথিবী থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে 'জিওসিনক্রোনাস'-এর কক্ষপথে চার টনের কৃত্রিম উপগ্রহ বহন করবে।