ইউরোপিয়ান ও রাশিয়ান স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক্সোমার্স প্রকল্পের অধীনে এই রকেট দুটি মনুষ্যবিহীন প্রোব বহন করবে বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ। প্রোবগুলো সাত মাস ধরে মহাশূন্যে বিচরণ করবে। এর মধ্যে ট্রেইস গ্যাস অর্বিটার মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব সন্ধান করবে এবং তা কি ভৌগলিক না জৈবিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট তা পর্যবেক্ষণ করবে।
মিথেন গ্যাস প্রধানত জৈবিক প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় এবং বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব গ্রহটিতে কোনো একটি পর্যায়ে জীবনের অস্তিত্ব ছিলো- এই ধারণাকে শক্ত ভিত্তি দেবে।
স্কিয়াপ্যারেলি নামের দ্বিতীয় প্রোবটি পরবর্তী মিশনে ব্যবহৃত হবে এমন প্রযুক্তি পরীক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলক অবতরণকারী হিসেবে কাজ করবে। এ ছাড়াও মঙ্গলপৃষ্ঠের নিচে প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানে খননকাজ চালাতে যুক্তরাজ্য নির্মিত আরো একটি রোভার পাঠাবে এক্সোমার্স ।
দুটি মিশনে ৯০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় হবে।
বার্কবেক, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন-এর বিজ্ঞানী ড. পিটার গ্রিন্ডরড পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানের ব্যাপারটিকে “অসাধারণভাবে রোমাঞ্চকর” হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “সৌরজগতের অন্য কোথাও জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াটা এক দুর্দান্ত আবিষ্কার হবে, তাই এর পক্ষে দৃঢ় প্রমাণ থাকতে হবে।”