২০১৪ সালে অবৈধভাবে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা চলচ্চিত্র তালিকার শীর্ষে ছিল ‘দ্য উলফ অফ ওয়াল স্ট্রিট’। বিবিসি জানিয়েছিল চলচ্চিত্রটি তিন কোটিরও বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছিল।
সে হিসেবে, এ বছর ইন্টারস্টেলার-এর ডাউনলোড-এর পরিমাণ বিগত বছরের রেকর্ডকেও ভেঙে দিয়েছে। এ ছাড়াও চলতি বছরে অবৈধভাবে ডাউনলোড করা শীর্ষ দশটি চলচ্চিত্রের প্রত্যেকটিই তিন কোটির বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাইরেসি ট্র্যাকিং সংস্থা এক্সসিপিও।
এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির মুখপাত্র বেঞ্জামিন হক বলেন, “বিগত বছরের শীর্ষ দশের তালিকার সঙ্গে তুলনা করলে, বলা চলে অবৈধভাবে ডাউনলোড-এর সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে।”
এক্সসিপিও’র তালিকা থেকে অবৈধভাবে ডাউনলোড করা শীর্ষ দশটি চলচ্চিত্রের তালিকাটি হল-
১. ইন্টারস্টেলার – ৪ কোটি ৬৮ লাখ বার
২. ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৭ – ৪ কোটি ৪৭ লাখ বার
৩. অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অফ আলট্রন – ৪ কোটি ১৬ লাখ বার
৪. জুরাসিক ওয়ার্ল্ড – ৩ কোটি ৬৯ লাখ বার
৫. ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোড – ৩ কোটি ৬৪ লাখ বার
৬. আমেরিকান স্নাইপার – ৩ কোটি ৩৯ লাখ বার
৭. ফিফটি শেডস অফ গ্রে – ৩ কোটি ২১ লাখ বার
৮. দ্য হবিট: ব্যাটল অফ দ্য ফাইভ আর্মিস – ৩ কোটি ১৬ লাখ বার
৯. টার্মিনেটর: জেনেসিস – ৩ কোটি ১০ লাখ বার
১০. কিংসম্যান: দ্য সিক্রেট সার্ভিস – ৩ কোটি ৯ লাখ বার
অন্যদিকে এ বছর অবৈধভাবে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া টিভি সিরিজের তালিকা প্রকাশ করেছে টরেন্টফ্রিক। তালিকার শীর্ষেই রয়েছে গেইম অফ থ্রোনস। টরেন্টফ্রিক প্রকাশিত সে তালিকাটিও এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
১. গেইম অফ থ্রোনস - ১ কোটি ৪৪ লাখ বার
২. দ্য ওয়াকিং ডেড – ৬৯ লাখ বার
৩. দ্য বিগ ব্যাং থিওরি – ৪৪ লাখ বার
৪. অ্যারো – ৩৯ লাখ বার
৫. দ্য ফ্লাশ - ৩৬ লাখ বার
৬. মি. রোবট – ৩৫ লাখ বার
৭. ভাইকিংস – ৩৩ লাখ বার
৮. সুপারগার্ল – ৩০ লাখ বার
৯. দ্য ব্ল্যাকলিস্ট – ২৯ লাখ বার
১০. সুটস – ২৬ লাখ বার
অবৈধ অনলাইন স্ট্রিমিং বা ফাইল-হোস্টিং সেবাদাতাদের হিসেব বাদেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টরেন্টফ্রিক। সাইটটি আরও জানিয়েছে, মোট পাইরেসির হার এর চেয়ে আরও অনেক বেশি।
এক্সসিপিও-এর হিসাব অনুযায়ী, এই বছর অবৈধভাবে সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র ডাউনলোড করা হয়েছে ব্রাজিলে, এর পরেই রয়েছে রাশিয়া, চীন এবং ভারত। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্য এ বছর তালিকায় যথাক্রমে পঞ্চম এবং সপ্তম স্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে টরেন্টফ্রিক।