রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার থেকে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন চীনের জননিরাপত্তা মন্ত্রী গুওশেংকুন। যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি জেহ জনসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ওই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল লরেটা লিঞ্চ অংশ নেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
আলোচনায় সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নিয়ম প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা হিসেবেও চিহ্নিত করা হচ্ছে এই আলোচনাকে।
২০১৪ সালে দুই দেশের মধ্যে ৫৯ হাজার কোটি ডলারের ব্যবসা হয়েছে যা দেশ দুটির মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক বন্ধন প্রকাশ করে। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা দুই দেশের সম্পর্কে একটি যন্ত্রণাদায়ক ইসু হয়ে উঠেছে।
চলতি বছর সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্র যান চীনের প্রেসিডেন্ট জি শিনপিং। ওই সফরে কোনো পক্ষই বাণিজ্যিক সুবিধার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে হ্যাকিংয়ের দারস্থ হবে না বলে অঙ্গীকার করা হয়।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন মার্কিন কাউন্টার ইন্টিলিজেন্স প্রধান বিল এভানিনা। হ্যাকিং নিয়ে চীনের আচরণ বদলানোর 'কোনো ইঙ্গিত' দেখতে পাননি বলে চলতি মাসের শুরুতে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে অত্যাধুনিক হ্যাকিং প্রতিপক্ষগুলোর মধ্যে চীন, রাশিয়া আর ইরান অন্যতম। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মীদের তথ্য হ্যাকের ঘটনায় মার্কিন কর্মকর্তারা চীনকেই দোষ দিয়ে আসছেন।