ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যেই ক্যান্সার আর স্ট্রোক নির্ণয়ে ক্লিনিকগুলোতে তাদের এই পদ্ধতি পৌঁছে যাবে।
এ প্রক্রিয়ায় ওই ইদুঁরের মধ্যে লক্ষাধিক ছোট ছোট বুদ্বুদ প্রবেশ করানো হয়। এই বুদ্বুদগুলো রক্ত ধমনীর চেয়ে অনেক ভালো শব্দ প্রতিফলন ঘটাতে পারে। এই গবেষণায় যুক্ত একজন জ্যেষ্ঠ গবেষক ইন্সটিট্যুট লঁসভা ইন পাঁরি’র অধ্যাপক মিকায়েল ট্যানটার বলেন, “পানিতে বা শরীরের নরম টিসুর ৯০ শতাংশই পানি হওয়ার আমাদের অঙ্গে সহজেই আল্ট্রাসাউন্ড উৎপন্ন হয়। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি এটি গ্যাসের খুবই ক্ষুদ্র কোনো বুদ্বুদে ধাক্কা দেয় তখন অনেক বড় প্রতিধ্বনি হয়।”
একটি সুন্দর ইমেইজের জন্য অনেক বেশি সময় না দিয়ে, প্রতি সেকেন্ডে ৫শ’ নিম্নমানের ছবি তুলে গবেষণা দলটি, এরপর এগুলোর মধ্যে তুলনা করা হয়। তাদের বানানো পদ্ধতিতে সহস্রাধিক ছবি একসঙ্গে করে একটি উন্নত মানের ছবি বানানো হয়, যার মধ্যে বুদ্বুদের কারণে সৃষ্ট পার্থক্যগুলো দেখা যাচ্ছিল।
অধ্যাপক ট্যানটার বলেন, আল্ট্রাফাস্ট ইমেজিং ব্যবহার করে আমরা এই বুদ্বুদগুলো আলাদা করার একটি উপায় খুঁজে পেয়েছি। যদি আপনি বুদ্বুদের আল্ট্রাফাস্ট ইমেইজগুলো নেন আর একটা নিয়ে আগেরটা বাদ দিয়ে দেন, তবে আপনি একে একে প্রতিটি বুদ্বুদ আলাদা করে দেখতে পারবেন।”
মাত্র ২০ মাইক্রোমিটার আকারে ইদুঁরের মস্তিষ্কের একটি ৩ডি ছবি পেতে আড়াই মিনিটের মধ্যে তারা ৭৫ হাজার ইমেজ নেন।
কয়েক বছরের মধ্যেই এই পদ্ধতি চিকিৎসকরা ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানান তিনি। লিভার স্ক্যান করার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই তারা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছেন।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশলী মেনজিং ট্যাং বলেন, “প্রযুক্তিটির যথেস্ট সম্ভাবনা রয়েছে।”
মেনজিং ট্যাং আরও উল্লেখ করেন, তার নিজের গবেষকদল, কিংস কলেজ লন্ডনের আরেক দল গবেষক এ বিষয়ে কাজ করছেন। জার্মানিতেও একই বিষয়ে কাজ চলছে, ফলে এ বিষয়ে দ্রুত উন্নতি আশা করা যেতে পারে।