আমাজনের বেজোসের মহাকাশ সাফল্য

খেলার খবর হলে সম্ভবত সংবাদের শিারোনাম হত ‘বেজোস ১: মাস্ক ০’! পরিস্থিতি এখন এইরকমই বটে। মহাকাশ যাত্রায় নানারকম খবরের যোগান দিয়ে এসেছেন ইলন মাস্ক আর হঠাৎ করেই রকেট উৎক্ষেপণ করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।

আজমল বশির শিহাববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2015, 12:11 PM
Updated : 25 Nov 2015, 12:11 PM

নিজের মহাকাশযান নিউ শেপার্ডের দ্বিতীয় অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেফ বেজোস। বায়ুমণ্ডলের উপরে মানুষকে বহনের উদ্দেশ্যে বানানো হলেও, সোমবার টেক্সাস থেকে উড্ডয়নের সময় এতে কোনো যাত্রী ছিল না।

নিউ শেপার্ডের দুটি অংশ— ক্যাপসুল আর প্রোপালশন ইউনিট দুটিই নিরাপদে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছে বেজোসের প্রতিষ্ঠান।

চলতি বছর এপ্রিলে প্রথম যাত্রা করেছিলে এটি। সে সময় ক্যাপসুলটি প্যারাসুটের মাধ্যমে নিরাপদে অবতরণ করলেও হাইড্রোলিক চাপে সমস্যা হওয়ার কারণে হারিয়ে যায় এর প্রোপালশন।

এবারে অভিযানের আগে মার্কিন এই ধনকুবের তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তবে, এর ঠিক এক সপ্তাহ আগে 'খুব শিগগিরই' আরেকটি অভিযান চালানো হবে বলে আভাস দিয়েছিলেন তিনি। বেজোসের মহাকাশ অভিযান পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের পক্ষ থেকে সরাসরি এই ইভেন্ট নিয়ে সব ভিডিও আর তথ্য দেওয়া হয়েছে।

ছয় জন যাত্রীকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে নিউ শেপার্ডের। সোমবারের পরীক্ষায় এটি ১০০.৫ কিলোমিটার উপরে উঠে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর প্রোপালশন ইউনিট লম্বভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারে। বলা হয়েছে, এ কারণে এটি বারবার ব্যবহার উপযোগী।

যাত্রীবাহী ক্যাপসুলটি একদম উপরে যাওয়ার পর তা আলাদা হয়ে যায়, আর ফিরে আসার সময় প্যারাসুটের মাধ্যমে অবতরণ করে এটি।

২০১৬ সাল থেকে এই মহাকাশযান বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হবে। এর ক্যাপসুলে যাত্রীরা কয়েক মিনিটের জন্য ওজনহীনতা অনুভব করতে পারবেন।

বেজোস আরও সামনে আরও কিছু বড় মহাকাশ অভিযানের পদক্ষেপ নিয়ে ঘোষণা দেন। নতুন প্রজন্মের রকেটের ইঞ্জিন সরবরাহ করবে ব্লু অরিজিন। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ফ্লোরিডার কেইপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশনের ‘ঐতিহাসিক’ লঞ্চ প্যাড ব্যবহার করেছে।

১৯৬৯ সালের অ্যাপোলো ১২ অভিযানে সহায়তাকারী পাওয়ার ইউনিটটি আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ থেকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন বেজোস।